June 14, 2025, 3:37 pm
সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ঢাক-ঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে যেন এ আনন্দময় উৎসব আয়োজন। ঢাক, ঢোল গায়ে রংঙ্গ বংঙ্গে কাপড় আর কাঁসার ঘন্টার ডোলের তালে তালে চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আর রামদা আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন শত শত দর্শক। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের হাজারো দর্শক।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন ) বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের দুগাঙ্গার পাড় অনির্বাণ ছাত্র সংঘের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার উদ্বোধন করেন রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আমিনুল এহেসান ( উজ্জ্বল)।
উপ-পরিচালক বিআইডিএস গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইকোনমিক্স বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আগারগাঁও এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবদীন।
লাঠিখেলায় অংশ নেয় রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন থেকে আসা আনুহাদি একতা যুব সংঘ লাঠিবাড়ি ক্লাবের লাঠিয়াল দল ও রঘুনাথপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের দল। লাঠিয়াল নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাপ দাদাকে দেখেছি এই খেলা খেলতে, তাই খেলা শিখেছি। তরুণদের ডাকে সাড়া দিয়ে খেলতে আসছি। কিন্ত গ্রাম বাংলা থেকে লাঠিবাড়ী খেলাটি এখন হাড়িয়ে যাচ্ছে।
পলাশতলী গ্রামের রফিকুল ইসলাম মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন পর লাঠিবাড়ী খেলা দেখলাম। আমরা চাই বর্তমান সময়ের ছেলেরা এই ঐতিহ্য ধরে রাখুক। লাঠি খেলাটি এখন গ্রাম বাংলা থেকে বিলুপ্তির পথে। গ্রামের তরুণরা এই খেলার আয়োজন করেছে। আমরা চাই প্রতি বছর এই খেলাটির আয়োজন করা হোক।
খেলার আয়োজকরা বলেন : অনির্বাণ ছাত্র সংঘের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখা জন্য লাঠিবাড়ী খেলার আয়োজন করা হয়েছে।