June 14, 2025, 2:43 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
যশোরের শার্শার রঘুনাথপুরে স্বামী স্ত্রীর মৃ-তদেহ উদ্ধার , রহস্যের গ-ন্ধ  আশুলিয়ার রূপায়ন মাঠে প্রকাশ্যে জু-য়া ও মা-দক বেচাকেনা আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল শাজাহানপুরে অর্থা-ভাবে থমকে আছে শিশু শাফায়াতের চিকিৎসা তেঁতুলিয়ায় প্রতিষ্ঠানের অস্তি-ত্ব নেই তবুও অনুদানভুক্ত এরপর তথ্য প্রেরণ নড়াইলে গৃহবধূর ম-রদেহ উ-দ্ধার স্বামী শহিদুল পলা-তক অরুনি পাঠাগারের ২ সদস্য পেল আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ’ প্রতিযোগিতায় সেরা দশের পুরস্কার পাইকগাছা – কয়রা প্রধান সড়কে খা-নাখ-ন্দ, জন দুর্ভো-গ চর-মে তাপদাহে গোদাগাড়ীসহ উত্তাঞ্চলের জনজীবন অতি-ষ্ঠ ফুলবাড়িয়া ঐতিহ্যবাহী লা-ঠি খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল
তেঁতুলিয়ায় প্রতিষ্ঠানের অস্তি-ত্ব নেই তবুও অনুদানভুক্ত এরপর তথ্য প্রেরণ

তেঁতুলিয়ায় প্রতিষ্ঠানের অস্তি-ত্ব নেই তবুও অনুদানভুক্ত এরপর তথ্য প্রেরণ

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নামমাত্র দুই স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নেই কোনো অস্তিত্ব খুজেও পাওয়া যায়নি গোটা ইউনিয়নে অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের এবতেদায়ী প্রধান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তিন বছরের বাস্তবতার তথ্য ছক তৈরি করে পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে। নামমাত্র ওই স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা দুটি হলেন, উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও ভজনপুর ইউনিয়নের নাজির উদ্দিন আঃ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা।

সরেজমিনে খোঁজখবর নেওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গেলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলী বলেন, “স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা আমাদের এখানে এক্টিভিটিস সেভাবে দেখিনি কখনো সঠিকতা তবে কয়েকদিন আগে গত এক সপ্তাহের মধ্যে সম্ভবত ঢাকা থেকে আসছিলেন বিভাগীয় দায়িত্বে এর মাঝে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৪টা নাকি ৫টা, পাঁচটা মনে হয় আমার কাছে জানামতে এই পাঁচটার তথ্য ওরা ঠিকঠাক করে ঢাকা থেকে যারা অথরিটি আসছিলেন এসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর আামার সাথে দেখাও করেনি মোবাইলে জাস্ট হ্যালো হইছে, আমাকে যাইতেও বলেনি তাঁরা প্রতিনিধি নিয়ে আসছে মাদ্রাসা চার পাঁচটা দেখে শুনে গেছে রিপোর্ট তো তাই। আমি তো ওখানে জাস্ট স্বাক্ষরটা হইতো করে দিছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে একটা স্বাক্ষর চাইছে স্বাক্ষরটা দিয়ে দিছি। আমি চাইছিলাম যে, আমি নিজেই ওখানে থাকবো। এটুকুই বক্তব্য এখন লিখেন আপনি, যদি সমস্যা হয় হবে, ফেস করবো আমরা”

জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মাদ্রাসা শাখা-৩ এর বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা থেকে গত মাসের ৫ তারিখ অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার চাহিত তথ্যাদি পত্রে বর্ণিত ওই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে নামমাত্র ওই প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে এমন জালজালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য ছক জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করেছেন।

এ বিষয়ে শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী ক্বারী শিক্ষক গোলজার হোসেন (পূর্বে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন) বলেন, তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত শিলাইকুঠি বালাবাড়ী ফুরকানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরে মাদ্রাসাটি ১৯৮৪/১৯৮৫ সালের দিকে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন হয় এবং স্বতন্ত্র এবতেদায়ীর নামে জমির কাগজপত্র আছে। ওই সময় পাঁচ জন শিক্ষক দিয়ে মাদ্রাসাটির পাঠদান চলতো। রেজিষ্ট্রেশনের পর পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে তিন জনের বেতন হওয়ায় অপর দু’জনের বেতন না হওয়ায় স্বতন্ত্র এবতেদায়ীর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে সেটি দাখিল মাদ্রাসায় সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা করা হয়েছে। বর্তমানে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী কোনো মাদ্রাসা নেই। একই কথা বলেন ওই প্রতিষ্ঠানের এবতেদায়ী প্রধান মাহফুজার রহমান তিনি বলেন, বর্তমানে যেটি শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী সংযুক্ত শাখা সেটিই ১৯৮৪/১৯৮৫ সালে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ছিল। যার নামে এই মাদ্রাসায় দলিল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিলাইকুঠি দাখিল মাদ্রাসার এরিয়াভুক্ত সরকারপাড়া মৌজার ৩৮৪৩ ও ৩৮৪৪ নং দাগে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। পরে ১৯৯৪ সালে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম স্থগিত করে দাখিল মাদ্রাসায় রুপান্তর করা হয়। অত্র এলাকায় শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই।
এছাড়া শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক আলমগীর হোসেন (পূর্বে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন) বলেন, তিনি শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন ৫০০ টাকা বেতন পেতেন। পরে শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে দাখিল মাদ্রাসায় সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রসার সুপারিনটেনডেন্ট বদিরুল আলম সরকার বলেন, শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ১৯৯৪ সালের দিকে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দাখিল মাদ্রাসা করা হয়েছে।

এদিকে নাজির উদ্দিন আঃ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়নের কুরানুগছ গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে হুমাউন কবির, প্রভাষক ইয়াছিন আলীসহ এলাকাবাসী জানান, অনেক আগে এখানে একটি মাদ্রাসাটি ছিল পরে ওই জমিটি নিয়ে মামলা হয়। ইতোপূর্বে যেখানে মাদ্রাসা ছিলেন সেখানে এখন চায়ের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। অস্তিত্ব নেই ভেঙে ফেলা মাদ্রাসার ঘরের আংশিক ইটের ওয়াল দেখা গেলেও সেটিও এখন ব্যক্তি মালিকানার দখলে। এ বিষয়ে মাগুরমারী চৌরাস্তা পমিজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুর মোহাম্মদ (পূর্বে নাজির উদ্দিন আঃ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন) বলেন, তিনি নাজির উদ্দিন আঃ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় তৎকালীন এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৯৪/১৯৯৫ সালের পর মাদ্রাসাটি ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর এখন শুনছেন সেটি চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।

শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা পরিচালনাকারী উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের কেয়ারটেকার ও খয়খাটপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক আবু তাহের আনসারী বলেন, ‘শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার বিষয়ে তিনি দেখেন এবং ওই মাদ্রাসায় তার মেয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। অন্যান্য গুলো যার যার মাদ্রাসা তারাই দেখেন এমনটি জানিয়েছেন তিনি। শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা বাস্তবে নেই কিন্তু সেখানে আপনার(আবু তাহের আসসারী) মেয়ে আছেন কিভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনো তো কোনো খবর নাই, চালাচ্ছি কাজ, ভবিষ্যতে যদি করা যায় কাজ।’ এদিকে খাতা-কলমে থাকা শিলাইকুঠি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, এই মাদ্রাসার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ঘর নেই এবং কোনো পাঠদান চলেনি এখন মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক ঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই মাদ্রাসার প্রধান হলেন আবু তাহের আনসারীর মেয়ে এবং মাদ্রাসার দেখভালের অল ইন অল হলেন আবু তাহের আনসারী।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার একটি রিপোর্ট জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর পাঠানোর জন্য অনুরোধ করলে রিপোর্টটি আমাদের অফিস থেকে ফরওয়ার্ড করে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD