পাইকগাছা-সোলাদানা সড়কে স্লুইচ গেটের মাঝখানে ভেঙ্গে যাওযায় ; ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ; দ্রুত সংস্কারের দাবি

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা) ।।

খুলনার পাইকগাছা- সোলাদানা সড়কে স্লুইচ গেটের মাঝখানে ভেঙ্গে গিয়ে বড় গর্ত ( খাদ)’র সৃষ্টি হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন ভারী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না, অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভ্যান, নসিমন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন। দ্রুত সংস্কার কিংবা প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।স্থানীয়রা জানান পাইকগাছা- সোলাদানা সড়কে সোলাদানা বাজার এবং সোলাদানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইচ গেট রয়েছে। এই গেট দিয়ে আশে পাশের এলাকার পানি সরবরাহ হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সরকারি স্লুইচ গেটটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। দুই বছর আগে স্লুইচ গেটের মাঝখানে বেশ অনেকটাই বসে যায় এবং বড় ধরণের ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মালামাল বহণকারী এবং ভারী কোন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন। ব্যবসায়ী সিদ্দিক গাজী বলেন স্লুইচ গেটের ঠিক মাঝখানে ভেঙ্গে যাওয়ায় মালামাল বহণকারী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। গৃহবধূ পিরু বেগম বলেন এটি অত্র এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভ্যান চালক নজরুল ইসলাম বলেন যাত্রী নামিয়ে দিয়ে কোন ভাবেই চলাচল করছি। বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে। ইজিবাইক চালক সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন যাতায়াতের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না অনেকটাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। সোলাদান ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রবীর কুমার গোলদার বলেন স্লুইচ গেটটি পুরাতন হওয়ায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন এর আগে একবার সংস্কার করা হয়েছিল। সেখান থেকে আবারো বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী কে অবহিত করা হয়েছে বলে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *