January 30, 2025, 4:56 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক শিক্ষার চিত্র বদলে দিয়েছেন শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন তেঁতুলিয়ায় মেমো বহিতে এন্ট্রি ছাড়াই সার বিক্রি, এরাইভাল রিপোর্ট হচ্ছে কিভাবে তারাগঞ্জ ফুটবল একাডেমীর খেলয়ারদের জার্সি বিতরণ সুজানগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের  মানববন্ধন সুজানগরে অপহরণের ৪৯ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরনকারী গ্রেফতার মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে একটি পুকুর কুড়ি পরিবারের দুর্ভোগ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জিরা চাষ স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা নড়াইলে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ১ আশুলিয়ায় পুরুষাঙ্গ কে-টে ফেলার ক্ষোভে স্ত্রী’র হাত কে-টে প্রতিশোধ নিলো স্বামী
সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার

সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার

সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। এই মহল ও চক্রটির সাথে জড়িতরা দেশ ও জাতির শক্র, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের মোবাইলের অডিও, ভিডিও সহ ছবি ব্যবহার করে গুরুতর অপরাধ অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে।

অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে একটি মহল দেশ ও জাতির মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে কোনো নেতা বা মেম্বার চেয়ারম্যান, এমপি মন্ত্রীর সাথে ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যেমনঃ “সৈরাচার বিরোধী স্বাধীন মানুষ” একটি আইডি তৈরি করে আঙ্গুল দিয়ে লিখছেন যে, সাংবাদিক লিখতে পারেননি সাম্বাদিক লিখে পুরো গণমাধ্যম কর্মী সাংবাদিক জাতির বিবেককে অপমান করছে। যে, ব্যক্তি ফেসবুক আইডির নাম “সৈরাচার বিরোধী স্বাধীন মানুষ” লিখেছেন খুব ভালো কথা কিন্তু মানুষ কি তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছেন ? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে, জামায়াতে ইসলাম আওয়ামী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করছে। ১৯৭১ইং থেকে ২০২৫ইং পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেছে জাতি। চলমান রাজনীতির প্রতিহিংসায় সাধারণ মানুষ হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন, এমনকি পুলিশ ও সাংবাদিক সরকারের বার্তা ও নির্দেশ মেনে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছেন কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার কোনো বিচার পাবেনতো? কোনো লাভ হবে না। পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার কর্মীদের অভিমত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করলেই তখন সেই পুলিশ সদস্যকে খারাপ বলা হয় আর সাংবাদিক কারো পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচার প্রচারণায় সংবাদ প্রকাশ করলেই সেই সাংবাদিক ভালো না, দালাল বা দোসর হয়, দেশে রাজনীতি করার অধিকার সবার কারণ বাধলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে যে দল যখন সুযোগ পায় তখনই সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন এটা কেমন রাজনীতি? দুর্নীতিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা, রাজনৈতিক সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সেই সাথে অনেক সাংবাদিকের উপর হামলা মামলা করছে একটি মহল, এমনকি গুজব ও অপপ্রচার চালায় সুবিধাবাদীরা। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি শব্দ অনেক সুন্দর তার মান মর্যাদা অনেক বেশি তাই রাজনীতি যেন হয় সেবামূলক, সেই সাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা হলে তা মেনে নিবে না জাতি। তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিকদের অসম্মান করার অধিকার কারো নেই” যারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের কোনো ভয় নাই। কোনো প্রকৃত সাংবাদিক কারো বিরুদ্ধে বদনাম বা অপপ্রচার করে না, সাংবাদিক কোনো দলের দোসর হয় না, প্রকৃত সাংবাদিকরা কোনো হামলা মামলার ভয় করেন না।

 বিশেষ করে যারা মানুষের ভালো কিছু করা দেখতে পারে না, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে, মানুষের বদনাম করার জন্য হুজব ছড়ায় তাদেরকে শনাক্ত করে আটক করার পর আইনের আওতায় আনার দাবী জানান সচেতন মহল। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করেন না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা অপপ্রচার করে তারা দেশ ও জাতির শক্র, আল্লাহ তাদের কঠিন শাস্তি দিবেন। অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা। পুলিশ বা সাংবাদিকরা বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৪ দিন ভালো কাজ করে আর ১দিন যদি একটা ছোট ভুল করেন তখন তাদেরকে গালি দিয়ে বলা হয় সাংবাদিকরা খারাপ। অনেকেই নিজেদের বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা ঠিক নয়, এটা প্রতিহিংসা। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। আমাদের লেখার মধ্যে বা দায়িত্ব পালনে ভুল হতে পারে এরজন্য হামলা, মামলার শিকার হতে হবে কেন? যারা কাজ করেন তাদের কাজে ভুল হয়, শয়তানের কিন্তু ভুল হয় না।

দেশের বেশিরভাগ সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন,বিশেষ সম্মান অর্জন করার জন্য কিন্তু সম্মান অর্জন না হয়ে আরও বদনাম হয় কেন?। শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে, এখন একটি মহল সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের ছবি ব্যবহার করে গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, এসব অপপ্রচার যারা করছে তারা কোনো দলের নয়, এটা তাদের স্বার্থের জন্য প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র। অনেকসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বর্তমান সরকারের সংশিষ্টদের নামে এবং সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে, যারা এসব করছে তাদেরকে শনাক্ত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। সেই সাথে ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যারা গুলি করেছে, তারা নব্য বিএনপি সেজেছে এবং ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখের ঘটনার সময় আহত নিহত বা শহীদদের আত্মীয় সেজে ভুয়া বাদী হয়ে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে মোটা অংকের বাণিজ্য করছে। এই ভুয়া বাদীসহ জড়িত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এখনো অনেক মামলার ভুয়া বাদী ও দেশ ও জাতিকে নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে, জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মন জয় করতে পারেন না। ছোট একটি ভুল করলে সাংবাদিককে খারাপ বলা হয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয় সাংবাদিককে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না?। সাংবাদিকরাই আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই। পুলিশের অস্ত্র ও পোষাক দেখে অপরাধীরা ভয় পেয়ে থাকে কিন্তু সাংবাদিকের উপর হামলা করতে কেউ ভয় করে না।  

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৮কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবি এই ৩টি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরের মতো কিছু করে বা অপ্রত্যাশিত আর কিছু অপকর্ম করলে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাংবাদিকদের তথ্য জানার অধিকার আছে, তবে কারো সাথে বিবাদ বা শক্রতা করে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসতে পারে না। তবে কেউ গায়ে পড়ে লাগলে তাকে ছাড় দেয়া যায় না। সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত। সাংবাদিক নেতারা অনেকেই জানান, সাংবাদিক শব্দ ছোট হলেও এটি একটি মহান পেশা। সাংবাদিকতা অনেক সম্মানজনক, তবে প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে অবশ্যই সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল বিষয়ে জানা। সম্পাদকীয় বা উপ-সম্পাদকীয় লেখা আর সংবাদ লেখা এক রকম নয়। উপ-সম্পাদকীয় লেখা অনেক কঠিন, আর উপ-সম্পাদকীয় সবাই পড়তে পারেন না এর অনেক কারণ রয়েছে। 

 তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে আঙ্গল দিয়ে দুই লাইন লিখে পোস্ট করলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না, বর্তমানে ফেসবুক লেখক ও সাংবাদিকরা কিছু নেতাদের ফেসবুক নেতায় পরিণত করেছে যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলেও সাংবাদিকরা কিন্তু কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলি করে হত্যা ও মানুষের লাশ পোড়ানো মামলায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, কিছু বিএনপি’র নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে ফায়দা নিচ্ছে একটি চক্র। কিছু পুলিশ সদস্যও আসামী হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। শুধু জামায়াতে ইসলামের কেউ মামলার আসামী হয়নি এবং তাদের কেউ গ্রেফতার হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢাকার আশুলিয়ায় সায়েব আলী ও আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বিএনপি সেজে ভুয়া বাদী হয়ে একাধিক মামলা করে অনেক মানুষকে হয়রানি করার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন, আর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পলাতক রয়েছেন, সবমিলে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের কেউ দেশে নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে চেয়ে আছেন পুরো ১৮ কোটি জনগণ। যতদিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি একরকম খারাপ ও জটিলতা বাড়ছে। অনেকেরই অভিমত যে, দেশের পুলিশ ও সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্য কি করছেন, তাদেরকে বুঝতে হবে এক দুইজন ভুল করলে তাদের দায় অন্যরা নিবে কেন জাতি জানতে চায়। তবে যে পেশার মানুষ হোকনা কেন তাদেরকে নিয়ে গুজব বা অপপ্রচার চালানো বড় ধরণের অপরাধ, দেশের আইনেও সাজা পাবে এবং আল্লাহর কাছেও জবাব দিতে হবে, মিথ্যাচার করলে তাদের জিহবা সামনে থেকে টেনে পেরেক মারা হতে পারে, দুনিয়ার আদালত জামিন দেন কিন্তু পাপী হলে আল্লাহর আদালতে শেষ বিচার হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD