January 30, 2025, 3:32 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক শিক্ষার চিত্র বদলে দিয়েছেন শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন তেঁতুলিয়ায় মেমো বহিতে এন্ট্রি ছাড়াই সার বিক্রি, এরাইভাল রিপোর্ট হচ্ছে কিভাবে তারাগঞ্জ ফুটবল একাডেমীর খেলয়ারদের জার্সি বিতরণ সুজানগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের  মানববন্ধন সুজানগরে অপহরণের ৪৯ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরনকারী গ্রেফতার মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে একটি পুকুর কুড়ি পরিবারের দুর্ভোগ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জিরা চাষ স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা নড়াইলে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ১ আশুলিয়ায় পুরুষাঙ্গ কে-টে ফেলার ক্ষোভে স্ত্রী’র হাত কে-টে প্রতিশোধ নিলো স্বামী
ঘুরে-ঘুরে একই জেলায় পিআইও সাখাওয়াত প্রকল্পের টাকা হরিলুট করে হয়েছেন কোটিপতি

ঘুরে-ঘুরে একই জেলায় পিআইও সাখাওয়াত প্রকল্পের টাকা হরিলুট করে হয়েছেন কোটিপতি

আরিফ রব্বানী,
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ।।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন এর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অনিয়ম আর দুর্নীতিতে সুবিধা থাকায় আওয়ামী শাসন আমলের দীর্ঘ সময় ঘুরে ফিরে একই জেলায়
চাকুরি করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন। নেপথ্যে রহস্য হিসাবে সরকারি বরাদ্দের টাকা হরিলুট করার সুবিধার্থেই একই জেলায় চাকরি করতে আগ্রহী ছিলেন এমন আলোচনা -সমালোচনা চলছে জনমনে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের তৃণমূলে উন্নয়ন ও হতদরিদ্রদের সহায়ক হিসেবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নানা শিরোনামে অর্থ বরাদ্দ হয় উপজেলা ও জাতীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে। উন্নয়নের জন্য ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ হয়।একইভাবে বরাদ্দ হয় প্রত্যেক সংসদ সদস্যের অনুকূলে। উপজেলার অনুকূলে বরাদ্দ অর্থ সমন্বয় কমিটির সভার মাধ্যমে বণ্টন হয় বিভিন্ন ইউনিয়নভুক্ত এলাকার প্রকল্পের নামে। যা বাস্তবায়নের দায়িত্বে জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও দেখভালের দায়িত্ব থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওপর। একই জেলায় দীর্ঘদিন বহাল থাকার সুবাদে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বদলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের। কিন্তু স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্যদের অনুসারীদের আর্শিবাদ থাকার কারণে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছায় খুঁটি গেড়ে বহাল তবিয়তে দীর্ঘ প্রায় একযুগের বেশী সময়। ফ্যসীবাদ সরকারের দালাল সেজে ঠিকাদারদের মতো সরকারি প্রকল্পে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নভুক্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শ্মশানঘাট, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট স্থাপন, মেরামত ও সংস্কারের জন্য সরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগ টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে এগিয়ে আছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন । দুই উপজেলায় এখানে দীর্ঘ এক যুগের বেশী সময়ে প্রায় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকার অংকের ২শতাধিক কোটি টাকার বরাদ্দ মিলেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মুক্তাগাছায় আওয়ামী সরকার আমলে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা/কাবিখা প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ না করেই ভাগ বাটোয়া করেছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। যা তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

অভিযোগে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় যতো ধরণের টিআর,কাবিখা. কাবিটা. দরিদ্রদের নগদ ভাতা সহ কর্মসৃজন প্রকল্প ইত্যাদি বাস্তবায়নের নামে সবকিছুই লাপাত্তা করে নিজেই আত্নসাৎ করে বসে থাকতেন। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফুলবাড়িয়া উপজেলা  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন মূলত কোন কাজই করতেননা। জানা গেছে, সাখাওয়াত হোসেনের কাজ ছিলো সারাদিন কিভাবে টাকা আত্নসাৎ করা যায় এই ধান্ধাবাজিতে আর বিকেল হলেই আওয়ামীলীগের উন্নয়ন মিছিলে শরীক হতেন। ফুলবাড়িয়া বাসী এখনও হাসি-ঠাট্রা করে বলে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা সেও আওয়ামীলীগের মিছিল করে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, পিআইও সাখাওয়াত হোসেন শুধু দরিদ্রদের  ভাতার টাকাই মেরে দেয়নি তিনি এমপি বরাদ্দ সহ যতো বরাদ্দের টাকা আসতো সবই খেয়ে ফেলতেন। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকরটির মতো পিআইও সাখাওয়াত হোসেন হোসেন নাকি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।
ক্ষুব্ধ হয়ে স্হানীয় বাসী বলেন, চোরা সাখাওয়াত হোসেনের শাস্তি কি ফুলবাড়িয়া থেকে মুক্তাগাছায় বদলি হওয়া! ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের কর্মকর্তা ময়মনসিংহের গোয়েন্দা সংস্হা সাখাওয়াত হোসেনের দূর্ণীতি আর অপকর্মের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নিবেন এটা যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ।

অনেকেই অভিযোগ করে বলেন সরকারের যত প্রকল্প লুটপাট করেছে সবগুলোই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আরোও বলেন, এখনি সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন এ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD