January 29, 2025, 8:02 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক শিক্ষার চিত্র বদলে দিয়েছেন শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন তেঁতুলিয়ায় মেমো বহিতে এন্ট্রি ছাড়াই সার বিক্রি, এরাইভাল রিপোর্ট হচ্ছে কিভাবে তারাগঞ্জ ফুটবল একাডেমীর খেলয়ারদের জার্সি বিতরণ সুজানগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের  মানববন্ধন সুজানগরে অপহরণের ৪৯ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরনকারী গ্রেফতার মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে একটি পুকুর কুড়ি পরিবারের দুর্ভোগ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জিরা চাষ স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা নড়াইলে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ১ আশুলিয়ায় পুরুষাঙ্গ কে-টে ফেলার ক্ষোভে স্ত্রী’র হাত কে-টে প্রতিশোধ নিলো স্বামী
নড়াইল শহরাংশের চার লেনে জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ থমকে আছে

নড়াইল শহরাংশের চার লেনে জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ থমকে আছে

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইল শহরাংশের চার লেনে জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন শীর্ষ প্রকল্পের নির্মাণকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ স্থাপনা। সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, তবে দখলদারদের মাত্র ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা গেলেও এখনো অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ৪০ শতাংশ বাকি আছে। যে কারণে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবন্ধকতায় চলতি বছরের (২০২৫) জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ আছে ছয় মাসের কম। এখনো ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। ফলে এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ফলে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের সুবিধা সহসাই পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়কের অংশ হিসেবে সড়ক বিভাগের অধীনে শহরতলি মালিবাগ থেকে সীতারামপুর পর্যন্ত নড়াইল পৌর শহর অংশের ৫ দশমিক ৭৯১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শুরু হয়। ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সওজ অধিদপ্তর। আর সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি। এর আগে গত ২০২১ সালের ২৩শে নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। চার লেনের সড়কটি সদরের মালিবাগ থেকে নড়াইল পৌর শহর হয়ে সীতারামপুর গিয়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে।
নড়াইল শহরের যানজট নিরসনের জন্য চার লেন সড়কের কাজ শুরু থেকেই গত তিন বছর ধরে চলছে কচ্ছপ গতিতে। কারণ হিসেবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কের দু’পাশের কিছু স্থানে স্থাপনা এখনো সরানো যায়নি। এ ছাড়া মামলা জটিলতায় দীর্ঘ সময় পার হয়েছে। এর আগে চার লেনের সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় সওজ। কিন্তু ভাঙার আওতায় থাকা নড়াইল পৌর শহরের ভওয়াখালী ও রুপগঞ্জ বাজারের ব্যক্তি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি মার্কেট, নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কয়েকটি মার্কেট রয়েছে। দফায় দফায় নোটিশ পাঠিয়ে এবং মাইকিং করেও সড়কের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে উদ্যোগ নেয়নি দখলদাররা। যে কারণে স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর অবস্থান নিয়ে সওজের বেদখল জায়গাগুলো যৌথ অভিযান চালিয়ে দখল মুক্ত করা হচ্ছে। তবে দখলদারদের মাত্র ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখনো অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ৪০ শতাংশ বাকি আছে। ফলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে যান চলাচলে বিড়ম্বনার পাশাপাশি ভোগান্তিতে চলাচলকারীরা। তবে সব সংকট কাটিয়ে চলতি বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দ্রুতই কাজ শেষ করার আশ্বাস প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, কাজ এগিয়ে নিতে নড়াইল শহরাংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেয়ার পরও দখলদাররা জায়গা খালি না করায় ইতিমধ্যে অভিযানে ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখনো ৪০ শতাংশ অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদ বন্ধে মামলা-মোকদ্দমা করে আছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী তথা বাজার কমিটির লোকজন উচ্ছেদ বন্ধে সাধারণ দখলদারদের ভুল বুঝিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আপত্তি দিয়েছিলেন। কোনো স্থাপনা, মার্কেট বা দোকানে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দখল মুক্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এসব কারণে এবং সেনাবাহিনীর নির্দেশে নির্মাণকাজের কিছু আইটেম বাড়ানো হয়েছে বিধায় কাজে ধীরগতি হলেও সব সংকট কাটিয়ে চলতি বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি
নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD