January 29, 2025, 3:00 am
রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন বালিঘোনা আল মাহবুব তামিরে মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসা সভাপতি সহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে পরীক্ষায় অনিয়ম, দূর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য করায় জেলা প্রশাসকের নিকট নিয়োগ পক্রিয়া স্থগিত করার আবেদন করেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। গত ২৭জানুয়ারী সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সদরের বালিঘোনা আল মাহবুব তামিরে মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসায় একাধিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ গত ৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক শতকন্ঠ পত্রিকায় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এক একটি পদের জন্য একাধিক ব্যক্তি আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারী ঝালাকাঠি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ভবনের একাধিক কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভাপতির মনোনীত প্রার্থী আসতে দেরি করায় সকাল ১০টার পরিবর্তে দেড় ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষা শুরু করে। পরীক্ষা শেষে একঘন্টা পর ফলাফল ঘোষনার কথা থাকলেও নিয়োগ কতৃপক্ষ ফলাফল ঘোষনা না করেই কতিপয় প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করেন। নিয়োগ কতৃপক্ষ স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাদের পছন্দনীয় প্রার্থীদের নিয়োগ করার লক্ষে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষনা করেননি। প্রার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে নিয়োগ কতৃপক্ষ ঐ সময় ফলাফল ঘোষনা না করে তারা পরেরদিন ২৬ জানুয়ারী মাদ্রাসা নোটিশ বোডে টাঙ্গীয়ে দেয়ার কথা বলে পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
এ বিষয় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা প্রার্থী আফসানা মিমি জানান, পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শেষে একঘন্টা পর ফলাফল ঘোষনা করার কথা থাকলেও নিয়োগ কতৃপক্ষ ঐদিন ফলাফল ঘোষনা না করে পরেরদিন মাদ্রাসা নোটিশ বোডে পরীক্ষার ফলাফলা দেয়া হবে বলে চলে যায়। পরেরদিন মাদ্রাসায় গিয়ে নোটিশ বোডে কোন ফলাফল দেখতে না পেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন কারীরা মাদ্রাসা ময়দানে সভাপতি, সুপার ও সহসুপারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ করেও কোন প্রতিকার না পেরে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদ্রাসার সভাপতি, মাদ্রাসা সুপার সহ নিয়োগবোর্ড থাকা কর্মকর্তাদের দূর্নীতি তদন্ত করে নিয়োগ বাতিল চেয়ে আবেদন করি।
এ বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় গত ২৫ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা শেষে ফলাফল ঘোষনা না করে পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের একটি কক্ষে নিয়োগ কতৃপক্ষের মধ্যে থাকা মাদ্রাসা সভাপতি বোর্ড থেকে আসা একজন কর্মকর্তাকে টাকা দিচ্ছেন, অপর দিকে মাদ্রাসা সুপারকে অন্য আরেক জনকে ডেকে টাকা দিতে দেখা যায়।
এ বিষয় মাদ্রাসা সুপার মো: তাজামুল হোসাইনের সাথে তার ব্যবহারিত মুঠোফোন নম্বরে (01720690……) একাধিক বার কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অপরদিকে এ বিষয় মাদ্রাসা সভাপতি মাওলানা মাহবুবের নিকট তার মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিধি মোতাবেকই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যারা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে তাদেরকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা অকৃতকার্য হবেন সাধারনত তারাই অভিযোগ দেন।