ভু-য়া বাদীর মি-থ্যা মামলা ও নিরীহ মানুষকে গ্রে-ফতারের প্রতিবাদে আশুলিয়ায় ছাত্র জনতার মানববন্ধন

হেলাল শেখ: ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টির মারুফ হোসেন মুকুল এর নামে মিথ্যা মামলা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় জনতা।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বাদ জুম্মা আশুলিয়ার শ্রীপুরস্থ তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানব বন্ধনে এসময় বক্তারা বলেন, দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুল-এর নামে মিথ্যা মামলা করা হতেছে। ওই মামলায় অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ওই মামলায় মাদরাসার বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য প্রফেসর হেলাল আহমেদকেও আসামী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

বক্তারা বলেন, প্রফেসর হেলাল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রয়েছেন এবং তিনি ট্রাস্টির সদস্য। তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ। তার বাড়ি আশুলিয়ার শ্রীপুরে। তাকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে উত্তরা থানায় হত্যা মামলা (নং ১৮) তে আসামি করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয় যে, ট্রাস্টির সদস্য হেলাল আহমেদ থাকেন আশুলিয়ায়। আশুলিয়া থেকে এই বৃদ্ধ মানুষটিকে কিভাবে উত্তরা থানায় হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। মাদ্রাসার অন্য এক ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলকে একই মামলায় কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই গত ২২শে জানুয়ারী বুধবার আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে উত্তরা থানায় প্রেরণ করেন। অথচ তিনি জানেন না যে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।

প্রফেসর হেলাল আহমেদ ও মারুফ হোসেন মুকুলকে যে ভুয়া ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই মিথ্যা মামলা থেকে তাদেরকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবী জানান। তা না হলে শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০২০ইং সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক দারুল ইহসান ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় জোরপূর্বক দখল করে তার মেয়েকে একটি অফিস বানিয়ে দেয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ৫ই আগস্ট দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলে নানক ও তার কন্যা পালিয়ে যায়। তখন ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দখল মুক্ত হয়। ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি কিংবা অন্য কোনো ট্রাস্টির আওয়ামী লীগ কিংবা-এর অঙ্গ সংগঠনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

দারুল ইহসান ট্রাস্টের সহকারী এস্টেট অফিসার মোঃ আসিফুজ্জামান, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থী সহ এলাকার সাধারণ জনতা মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত হওয়ার ঘটনায় যারা ভুয়া বাদী সেজে মামলা করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *