January 15, 2025, 5:11 pm
সাইফুল ইসলাম জয়ঃ ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবসহ থানায় হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা, ৪৬ লাশের মধ্যে ৬ জনকে পোড়ানো এবং অগ্নিসংযোগ ও সরকারি অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা হলেও বেশিরভাগ আসামীরা পলাতক। ছাত্র-জনতার হত্যার ঘটনার পর প্রতারক চক্রের ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল ও সায়েব আলী নিজেরাই এখন অন্য মামলার আসামী হয়ে পলাতক রয়েছে। “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল” এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় বিপুল সংখ্যক মামলা করা হয়েছে। এখানে জীবিত ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে মামলা, আশুলিয়া থানার আশুলিয়া ইঊনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা রাজু আহমেদ ও তার সহকারী আব্দুল জলিল এবং সাহেব আলী প্রতারক চক্রটি সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে ফিটিংবাজি ও চাঁদাবাজিসহ প্রতারণা শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র প্রথম পর্বে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, সেই সাথে জাতীয় দৈনিক চৌকস পত্রিকাসহ একাধিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়ায় একটি ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নিহত আহনাফ আবীর আশরাফুল্লাহর বোন সাইয়েদা আক্তারের পক্ষে গত (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) মামলা করার জন্য একটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে বিপুল সংখ্যক মামলা হয়েছে। এর আগে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেগুলোর ওপর তদন্ত চলমান রেখেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পুলিশ প্রধানসহ অনেকেই বলেছেন, ছাত্র-জনতার উপর হামলা-গুলি করে হত্যার অপরাধে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং যারা এসব ঘটনায় জড়িত নয় তাদেরকে এসব মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের নাম বাদ দেয়া হবে, ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে,এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে দশ নং আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ মানুষের লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্য ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারিপরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় যেসব হত্যা মামলা করা হয়, তার মধ্যে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়, এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পর্যায়ক্রমে সবগুলো হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষকে আসামী করা হয়। একাধিক ভুয়া বাদী অনৈতিক সুবিধা নিতে আব্দুল জলিল ও সায়েব আলী মিথ্যা মামলা করে মানুষকে হয়রানি করছে। অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?।
জানা গেছে, সাহেব আলী নামের ব্যক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রাজু আহমেদ ও তার সহকারী আব্দুল জলিলের সাথে থেকে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, আশুলিয়া থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের সাথে জড়িত থেকে কৌশলে মামলা থেকে বাঁচতে নিজেরাই নিহত মোঃ রাসেল গাজী (২৭) এর আত্মীয় ও ভুয়া বাদী সেজে একটি মামলা করে যাহা বি.পি. ফরম নং ২৭, বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৫৬ ও আশুলিয়া থানার স্মারক নং ৫১০০(৪)১ তারিখ ০৮/০৯/২০২৪ইং। সিআর স্মারক নং ১৩৫। তারিখ: ০৩/০৯/২০২৪ইং একটি মামলার ভুয়া বাদী মোঃ সাহেব আলী (৪৪) এনআইডি৩২৮১৩৮২৭৩৩ পিতা মোঃ আনজুর আব্দুর প্রামানিক, মাতাঃ মোছাঃ রাবেয়া খাতুন,স্থায়ী ঠিকানা: (সাভার ফদিরপুর) উপজেলা /থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা, বাংলাদেশ: বর্তমান: গ্রাম খেজুর বাগান, উপজেলা-থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকা, বাংলাদেশ। মোবাইল নং ০১৬৪১১৪৮৬০১। জানা গেছে, এই প্রতারক সাহেব আলীর বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, এ মামলার তিনি ৩০ নং আসামী। সেখানে সে আওয়ামী লীগের সদস্য এবং তার পিতার নাম আব্দুর প্রামানিক উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র সি আর মামলা নং ১৫৭৯/২০২৪ (আশুলিয়া)। এই মামলার বাদী হয়েছেন মনজুরুল ইসলাম (৪৫) পিতা-আব্দুল আহাদ। এই মামলার ৩৯ নং আসামী আব্দুল জলিল।তিনি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রাজুর সহকারী।
অনেকেই জানায়, আব্দুল জলিল কখনো বিএনপি আবার কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো সাংবাদিক, কখনো জমি দখল করে, কখনো দালালি, এখন ইয়ামিন হত্যা মামলার বাদী হলেও নিহতের পরিবার তা জানেনই না। জলিল যে, ছাত্র-জনতাকে গুলি করা যে পিস্তলটি ব্যবহার করেছে জলিল সেটি উদ্ধার ও তাকে গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরী। এদিকে পুলিশ ও র্যাব জানায়, জলিলসহ এই বাহিনীর যারা হত্যার সাথে জড়িত আছে সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে, আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এসব ভুয়া বাদীর মিথ্যা মামলা বাতিল করাসহ যারা দোষী নয় তাদের এই হয়রানি এবং যে অর্থ খরচ হয়েছে তাদেও এসব ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলের দাবী জানান, সেই সাথে প্রকৃত দোষীদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। জানা গেছে, ৪ আগষ্ট প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম “সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” এই সংবাদটি ছাত্র-জনতার পক্ষে যে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছেন তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছে উক্ত ভুয়া বাদী সাহেব আলী, কিন্তু নিহত ভিকটিমের পরিবার এই সাহেব আলীকে চেনেন না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আগষ্টে হত্যা মামলার আসামীরা বেশিরভাগই ভারতের কলকাতায় পালিয়ে আছে, সেখানে একটি স্থানের নামকরুন হয়েছে জয় বাংলা মোড়, বিকেল হলে বেশিরভাগ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী আড্ডা দেন। অনেকেই জানান, সাভার, আশুলিয়াসহ সারাদেশেই এরকম কিছু মামলায় অনেক সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসে প্রায় ২ লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার এবং প্রায় ৩-৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। এরপর ২০২৪ইং সালে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুফল হয় আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান-বাকিটা ইতিহাস। ২০২৫ইং সাল কেমন যাবে তা কেউ জানেন না। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপেক্ষা করছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সচেতন মহলের দাবি-মামলা হচ্ছে ঠিক আছে, তবে যারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত নয় তারা যেন হয়রানির শিকার না হয়। ২০২৪ইং বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস রচনা হয়েছে, বর্তমানে ২০২৫ইং চলমান জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনায় জাতি কিন্তু ছাত্র-জনতাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সঠিক বিচার হবেতো?।