আনোয়ার হোসেন,
স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি//
ত্রিশ বছরের ব্যাবহার করা রাস্তা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে, খালের উপর পারাপারের সুপারি গাছের সাকোটিও ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছিদ্দিক এর ছেলে আসলাম গংদের বিরুদ্ধে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে মোকলেসুর রহমান এর পরিবার ও তার আসে পাশের বেশ কয়েকটি পরিবার।মোকলেসুর রহমান ঘরের পাশেই রয়েছে একটি ডিপ টিউবওয়েল। এখন টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে পারছেনা পরিবার গুলো। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার কুনিয়ারি গ্রামে ঐ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা স্থালে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তবে আসলাম এর দাবি ঐ যায়গা আমাদের এতোদিন গায়ের জোরে হাটছে এখন আর হাটতে দিবে না।
এবিষয়ে মোকলেসুর রহমান এর মেয়ে জানান, এই রাস্তা দিয়ে আমার ত্রিশ বছর ধরে হাটাচলা করছি। হটাৎ করে সরকার পতনের পর আমাদের এই রাস্তা দিয়ে হাটতে দিচ্ছেনা। ছিদ্দিকের ছেলে আসলাম কোদাল দিয়ে রাস্তার মাটি কেটে ফেলে দিয়েছে সুপারি গাছের চারটিও ফেলে দিয়েছে আমারা এখন ঘর বন্ধি হয়ে থাকি, অনেক কষ্ট করে ঘর থেকে বের হই। আব্বা বয়স্ক মানুষ অনেক কষ্ট করে হাট বাজারে যায়।
অথচ এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান মিলে এই রাস্তা দিয়ে আমাদের হাটতে দিয়েছে। ৪০ দিনের কর্মসূচি দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করে দিয়েছে। এখন সরকার পতনের পর হটাৎ করে আমাদের এই রাস্তা দিয়ে হাটতে দিচ্ছে না আমাদের। কারন আমার আওয়ামিলীগ করি এবং নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম। এমনকি আমাদের উপর অনেক অন্যায় অত্যাচার করছে কিছুই বলতে পারিনি। এখন আমাদের দাবি অন্তত রাস্তাটি আমাদের ব্যাবহার করতে দেয়া হোক।
ভুক্তভোগী মোকলেসুর রহমান বলেছেন, গত ত্রিশ বছর যাবত ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ীতে আসাযাওয়া করছি। হটাৎ করে ছিদ্দিকের ছেলে আসলাম বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তাটি কেটে ফেলেছে এবং সুপারি গাচের সাকোটি ফেলে দিয়েছে। এতে আমাদের ঘরবন্ধি হয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে খাল,জঙ্গল ডিঙিয়ে দশ মিনিট হেটে বাড়ীতে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ছিদ্দিককুর রহমান বলেন,এ যায়গা আমারা ক্রয় সূত্রে মালিক মোকলেসুর রহমান এর জামাই কামাল জোর করে আমাদের যায়গার উপর থেকে রাস্তা তৈরি করেছিলো আমরা ঢাকায় থাকার সুযোগে।তাদের উত্তর পাশে যায়গা আছে সেখান থেকে রাস্তা তৈরি করে হাটাচলা করুক আমাদের যায়গা থেকে তারা হাটতে পারবে না।
এ বিষয়ে এলাকার মেম্বার মাজেদ মিয়া বলেন,যায়গাটা ছিদ্দিকের এটা নিয়ে পরিষদে কয়েকবার বৈঠক করেছিলাম। চেয়ারম্যানও বিষয়টি জানে। ৪০ দিনের কর্মসূচি দিয়ে রাস্তাটি করা হয়েছিলো। এখন তাদের যায়গা থেকে হাটতে না দিলে আমরা কি করতে পারি।

Leave a Reply