মনোহরগঞ্জ ২০১৯ সালে ভোট কেন্দ্রে ন্যাক্কারজনক হামলার কথা ভুলেনি কলম সৈনিক সাংবাদিক মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন।

কুমিল্লা থেকে নিজেস্ব প্রতিবেদক,

কুমিল্লার সাহসী কলম যুদ্ধা
তৎকালীন সময় ২০১৯ সাল, আওয়ামী লীগের শাসনের আমল।
দৈনিক দিনকালের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন আজো ভুলেনি মনোহরগঞ্জের মৈষেরতুয়া ইউনিয়নের আমতলী ভোট কেন্দ্রের হামলার কথা। কি ঘটে ছিলো সেদিন? সংবাদকর্মীদের সাথে ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন গংদের হামলার স্বীকার হন ভোট কেন্দ্রে।

২০১৯, বছরের প্রথম দিকে ইউনিয়ন নির্বাচন শুরু হলে পেশাগত দায়িত্ব পালনে দৈনিক কালেরকন্ঠের সাংবাদিক আঃরহমান, প্রয়াত এনটিভির সাংবাদিক জালাল উদ্দীন, মানবকন্ঠের সাংবাদিক শাহাজাদা এমরান, এসএ টিভির সাংবাদিক আবু মুসা, যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্লাহ সহ দুটো টিম নিউজ কভারেজ করতে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শনে যায়। এক পর্যায় মৈষেরতুয়া ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১১ টায় খবর আসে ভোট কেন্দ্রে প্রাকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারে ঢাকা কলেজের ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
ঘটনা স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে ভিডিও ও ছবি তোলার সময় নাছির উদ্দীনসহ তার গংরা টেরপেয়ে দায়িত্ব রত লাকসাম থারার ইনচার্জ মনোয়ার হোসেনের সামনে এগিয়ে এসে হামলা চালায় কলম সৈনিক তরিকুল ইসলাম তরুনের উপর।
এসময় ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়,এই ঘটনা অন্যান্য সহকর্মীরা এগিয়ে আসলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মন্ত্রীর ক্ষমতা দেখিয়ে নাছির উদ্দীন সাংবাদিক তরুনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ধুমরে মুচরে কেন্দ্রের স্কুল বিল্ডিং এর উপরে ঢিল ছুড়ে মারে। বিষয় টি সাংবাদিকরা
তাৎক্ষণিক কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কে অবহিত করলে তৎকালীন এডিসি রেভিনিউ আসাদুজ্জামান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত ওসি মনোয়ার হোসেন ও প্রিসাইডিং অফিসার কে ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
তখন কেন্দ্র টি দু ঘন্টার জন্যে সাময়িক বন্ধ করে প্রশাসন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আর অফিসার ইনচার্জ সমন্বয় করে ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন কে ১৫০০০ টাকা জরিমানা করেন এবং কেন্দ্র বন্ধ করেন। হামলার স্বীকার কলম যুদ্ধা মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন কে
ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিয়ে বলেন কেন্দ্র বন্ধ। আমরা কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা নিচ্ছি তাকে।
সাংবাদিকরা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। দু’ঘন্টা পরে গোপন সূত্রে জানতে পারে সাংবাদিকরা বেলা ১ টা বাজলে পুনরায় ভোট দিতে আসে জনগণ, তখন ভোট চালু করলে আবারও জনগণের সামনে প্রকাশ্যে সিল মেরে নৌকার পক্ষে রায় নেন তখন কার নৌকার পক্ষের প্রার্থী।

মানুষ মন্ত্রীর নেতাকর্মীদের কাছে জিম্মি ছিল।সাংবাদিকরা ও নির্যাতিতরা কুমিল্লা প্রশাসনের কাছে দাবি করেন তৎকালীন সময়ের ভোট ডাকাতির জন্য সকল সন্ত্রাসীদের ধরে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। তৎকালীন সরকার বলে ছিলো আমার ভোট আমি দিবো সব মার্কা ছাড়া শুধু নৌকায় মারবো। কারা এসব কুকর্মের সাথে জরিত সকলের তালিকা প্রকাশ করা হোক।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *