December 21, 2024, 4:21 pm
মোজাম্মেল হক, চারঘাট (রাজশাহী) থেকেঃ
খরচ যেমন কম, তেমনি আছে লাভ। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় কৃষকদের তুলা চাষে দিন দিন বাড়ছে আগ্রহ। খরচের তুলনায় বেশি বেশি লাভ পাচ্ছেন এই তুলা চাষে। তুলার যেন নেই কোনো তুলনা।
তুলা চাষে সংসারে সচ্ছলতা আসায় চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন। অনুর্বর জমিতে কম পুঁজিতে নামে মাত্র শ্রমে ও সরকারি সহযোগিতা পাওয়ায় উপজেলায় তুলা চাষের পরিমাণ ও চাষির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাদের উৎপাদিত তুলা সরাসরি তুলা উন্নয়ন বোর্ড ন্যায্য দামে কিনে নেয়। ফলে কৃষকরা অন্য ফসলের তুলনায় তুলাতে অধিক লাভবান হচ্ছেন।
শনিবার দুপুরের সরজমিনে চারঘাট উপজেলার খোর্দ্দগোবিন্দপুর, পাটিয়াকান্দি, মুংলী, অনুপমপুর, কালুহাটি ঘুরে দেখা গেছে কার্পাস তুলা চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এখন কৃষকরা তুলা ক্ষেতের পরিচর্যার কাজ নিয়ে ব্যস্ততা সময় পার করছে।
উপজেলার খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রামের জবদুল সরদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি গত বছর ৪ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছিলাম। তাতে আমার মনে হলো খরচের চেয়ে লাভ বেশি হয়েছে তাই এ বছর ১০ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। আশা করি এ বছর ভালো ফলন পাবো বলে আমি মনে করি। এর কারণ আবহাওয়া অনুকুলে আছে।
কৃষক খলিল বলেন, এবার আমি ২ বিঘা তুলা চাষ করেছি। দেশি তুলা বিঘাপ্রতি ১২ এবং হাইব্রিড ১৫ মণ ফলন পাওয়া যায়।তুলায় সেচের তেমন একটা প্রয়োজন হয় না। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করে বীজ-সারের দামও পরিশোধ করা যায়। তাই এ ফসলে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলার কটন ইউনিট অফিসার হোসেন আলী বলেন, গত বছর চারঘাট উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করা হয়েছিলো। চলতি মৌসুমে ৪৩৫ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করা হয়েছে। গত বছর তুলার মূল্য ছিলো ৩৯০০ টাকা মণ। চলতি মৌসুমে মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কারণ তুলার মূল্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয়। তবে উপজেলায় কার্পাস তুলা চাষে ব্যাপক ফলন হয়েছে।তিনি বলেন, তুলা চাষিদের সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
মোঃ মোজাম্মেল হক
চারঘাট, রাজশাহী।