দেবীগঞ্জে বেশি দামে সার বিক্রির দায়ে দুই ব্যবসায়ীর জেল ও জরিমানা

 

মোঃ বাবুল হোসেন.পঞ্চগড় :

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সার মজুদ করে সরকার নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে সার বিক্রির দায়ে মোঃ হাছেন আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অমল নামে অন্য আরেক ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত দশটায়  উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সার মজুদ এবং বেশি দামে বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় দেবীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তুরাব হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের এই শাস্তি প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড শাস্তি পাওয়া ব্যক্তির নাম মোঃ হাছেন আলী। তিনি মেসার্স  এলাহী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। এছাড়া বেশি দামে সার বিক্রি করায় মেসার্স মা বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী অমলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ বাজারে সারের দোকান ও গুদামে অবৈধভাবে সার মজুত এবং বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। অভিযানে মেসার্স এলাহী ট্রেডার্স নামে একটি সারের দোকানে প্রতি বস্তা টিএসপি সার সরকার নির্ধারিত ১৩৫০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫০ টাকায় বিক্রির সত্যতা মিলে। এছাড়া অন্য ব্যক্তির নামে সরকারি লাইসেন্স নিয়ে নিজের নামে তা পরিচালনা করা এবং সরকারি বরাদ্দকৃত সার বাজারে বিক্রি না করে বেআইনিভাবে ২৩১১ বস্তা সার মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টার প্রমান পাওয়া যায়। একারনে ভ্রাম্যমাণ আদালত এলাহী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হাছেন আলীকে ছয় মাসের জেল এবং মজুদকৃত ৭৭৭ বস্তা টিএসপি এবং ১ হাজার ৬০০ বস্তা পটাশ সার জব্দ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া সরকার নির্ধারিত দামের থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির দায়ে মেসার্স মা বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী অমলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। 

এবিষয়ে দেবীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তুরাব হোসেন বলেন, প্রশাসন এবং যৌথবাহিনীর অভিযানে বেআইনিভাবে সার মজুদ করা ও বেশি দামে সার বিক্রির দায়ে মোঃ হাছেন আলীকে ২০০৬ সালের সার ব্যবস্থাপনা আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং  অমল নামে আরেক ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সার মজুদের ঘটনায় যার নামে এই সরকারি লাইসেন্স ছিলো সেটি বাতিলের জন্য কৃষি অফিসকে বলা হবে। জনস্বার্থে এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *