November 13, 2024, 6:25 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ধ-র্ষণ মামলা প্র-ত্যাহার না করায় বাদীর হাতে অস্ত্র দিয়ে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ আসামীর পরিবারের বিরুদ্ধে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ৩৬ বাংলাদেশী আটক লঞ্চ থেকে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর নদীতে ঝাঁপ কীর্তণখোলায় ভেসে উঠল ম-রদেহ প্রল-য়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে নিহ-তদের স্মরনে দোয়া এবং পাথরঘাটায় ‘উপকূল দিবস’ পালিত টুরিস্ট পুলিশ ও স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে মত বিনিময় সভা মাওয়া ঘাটে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামের ভূমিকা গাইবান্ধায় হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভা সিরাজদিখানে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষর ভূমি দস্যু মোক্তারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন নপম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ র‌্যাব-১২ এবং র‍্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে তাড়াশ যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান ঢাকা থেকে গ্রেফতার ঝিনাইদহে পুকুর থেকে মাছ লুটের অভিযোগ
২০ বছরেও শুরু হয়নি ভরাট হওয়া শিবসা নদী খননের কাজ ; অ-বৈধ দ-খল ও গোচারণ ভুমিতে পরিণত

২০ বছরেও শুরু হয়নি ভরাট হওয়া শিবসা নদী খননের কাজ ; অ-বৈধ দ-খল ও গোচারণ ভুমিতে পরিণত

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।

খুলনার পাইকগাছার ভরাট হওয়া শিবসা নদী খননের কাজ।উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের মধ্যে ১৫-২০ বছর যাবৎ সীমাবদ্ধ রয়েছে।কর্তৃপক্ষের নিরাবতার কারণে নদী ভরাটের বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছে ভুমিদস্যুরা।
উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এক সময়ের খরস্রোত প্রমত্তা শিবসা নদী। যার একুল থেকে ওকুল দেখা যেত কুয়াশায় মতো। এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে যেতে হলে নদী পারাপারের কোন বিকল্প ছিলনা। এজন্য ছিলো খেয়াঘাট ও লঞ্চঘাট। ঘাটে থাকতো সারি সারি নৌকা। থাকতো খেয়ার নৌকা, আবার থাকতো জলদি নৌকা। প্রচন্ড ভীড়ে ঠেলাঠেলি করে নৌকা চড়তে হতো সেসময়। এমনকি পালতোলা নৌকাও চলতো এনদীতে। এছাড়াও দিনরাত চলতো লঞ্চ, স্টিমারসহ বিভিন্ন নৌযান। কয়রা- পাইকগাছা ও বড়দল এলাকার লোকজন এ নদী পথেই খলনা ও মোংলা বন্দরে যাতায়ত করতো। এখন সব কিছুই শুধু স্মৃতি মনে হয়। রুপ কথার গল্পের মত। বর্তমানে নদীতে সাধারণ জনগণ পায়ে হেটে চলাচল করছে। বিশাল অংশ চলে গেছে অবৈধ দখলদারদের দখলে। পরিনত হয়েছে গোচারণ ভুমিতে।
এদিকে পৌরসভায় শহর রক্ষা বাঁধের নামে নদীর মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরী করে অনেকেই শত শত বিঘা দখল করে নিয়ে চিংড়ী চাষ করছে। তৈরী করেছে বাড়ী ঘর ও স্থাপনা। শিববাটী ব্রীজ থেকে হাড়িয়া পর্যন্ত শিবসা নদীর ১৫ কিলোমিটারের সম্পুর্ন ভরাট হয়ে যাওয়ায় সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনেক লেখা লেখি, আন্দোলন সংগ্রাম ও হয়েছে। বিভিন্ন সময় তৎকালীন সংসদ সংসদ্যরা আশ্বাস দিয়েছেন,এইতো টাকা বরাদ্দ হয়েছে, খুব শীঘ্রই খনন শুরু হবে। এই শুনতে শুনতে ১৫ থেকে ২০ বছর চলে গেছে। সবকিছুই তাদের আশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে।
নৌকার মাঝি হাজু দাশ জানান, বাবার হাত ধরে নৌকার মাঝি হয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। মানুষ পার করে সংসার চলতো। এখন নদী নেই সেকারনে আমাদের পেশা বদল করতে হয়েছে। আয়-রোজগার কমেছে।
শামসুর মাঝি জানান, দেশ স্বাধিনের পর থেকে খুলনা থেকে পাইকগাছা বাজারের ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা-নেয়া করছি। এখন নদী ভরাট হওয়ার কারনে অনন্ত ২০কিঃ মিটার বেশি ঘুরে মালামাল শিববাটী ব্রিজের নিচে নামাতে হয়। ফলে মালামাল পরিবহনে খরচ বাড়ছে। নদী খনন হলে পাইকগাছার ব্যবসা-বানিজ্য বাড়বে।
পাইকগাছার সিনিয়র সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমান জানান, শিবসা নদীটি এ অঞ্চলের মানুষের এখন গলার কাটা হয়েছে। ভূমিদস্যুরা চর ভরাটী জমি দখল করে নিচ্ছে। অচিরেই নদীটি খনন করা প্রয়োজন।
পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্থফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, আমরা শিবসা নদী খননের। জন্য প্রায় ১৫বছর আন্দোলন করছি। বিগত সকল সংসদ সংসদরা আমাদের খননের জন্য আস্বাস দিয়ে পাইকগাছাবাসীকে আশাহত করেছে। অচিরেই এনদী খনন করতে না পারলে শিবসা নদী মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। পৌরবাসী বন্যায় আক্রান্ত হবে।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ জানান, নদী খনন না হওয়া পর্যন্ত এ সমাস্যা সমাধানের কোন উপায় নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারকে বার বার অবহিত করা হয়েছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান,আমি নিজেও দেখেছি শিবসা নদী পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে।খনন করা জরুরী। শিবসা নদী খননের বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা, খুলনা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD