আল আমিন শোভন
বিশেষ প্রতিনিধি :-
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে জমি দখল চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার (৬ নবেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সিরাজকন্দীতে বাজারের পাশে ওই জমিতে থাকা ঘর ভাংচুর করে ও জমিতে থাকা পিলার উঠিয়ে ফেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য দিলিপ ফকির ও তার বাহিনীরা।
জানা যায়, ২০১৯ সালে মৃত কাসেম ফকিরের ওয়ারিশগণদের কাছ থেকে সিরাজকন্দীর পলশিয়া মৌজায় ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মো. মোজাদ্দিদ আলম। জমির বিআরএস দাগ নাং- ২৯৪৩ ও বিআরএস খতিয়ান নং- ৩৭৯। নিজ জমিতে বসবাস করার জন্য কিছু গাছ লাগান মোজাদ্দিদ। পরে কাসেম ফকিরের বংশীয় দিলিপ ফকির দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে সেই জমির উপরে সকল গাছ কেটে ফেলেন এবং জমির মালিককে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। ওই জমিতে হামলা চালিয়ে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালালে ভুক্তভোগী মো. মোজাদ্দিদ আলম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল দায়রা জজ আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা করেন (সি, আর মামলা নং- ১০০/২০২১)। সে মামলার রায় তাদের পক্ষে আসে। মামলার উপর দিলিপ ফকির আপিল করেন। সেই আপিলের রায়ও ভুক্তভোগীর পক্ষে আসে। তারপরও দিলিপ ফকির জমির মালিককে নানা ভাবে হুমকি দেয়। আবারো মুজাদ্দিদ আলম একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করে। সে মামলা চলমান থাকাবস্থায় দীলিপ ফকির ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই জমির মালিক মোজাদ্দিদ আলম। কিন্তু দিলিপ ফকির সন্ধ্যায় তার লোকজন নিয়ে ভাঙচুর করেন।
ভুক্তভোগী মোজাদ্দিদ আলম জানান,
কাসেম ফকির মারা যাওয়ার পর তার ছেলে ও স্ত্রী কাছ থেকে ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করি। ক্রয় করার পরে সেখানে বসবাস করার জন্য একটি ঘর ও কিছু গাছ লাগাই। তারপর থেকে দিলিপ ফকির আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকায় আমি তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকার জানাই। তারপর থেকেই সে আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। পরে সে একদিন আমার জমিতে থাকা সকল গাছ কেটে ফেলে এবং জমি দখলের চেষ্টা চালায়। তারপরও সে আমার জমি দখল হুমকি এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাসহ আবার জমি যেনো আমাকে
এই বিষয়ে মোজাদ্দিদ ছেলে ওমর ফারুক জানায়, আমাদের সকল কাগজপত্র থাকা সত্বেও তারা আমাদের ভূমি দখলের চেষ্টা করছে। তারা আমাদেরকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। মামলার রায় নিষ্পত্তি হবে আগামী রবিবার।
ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply