October 31, 2024, 2:18 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে থানা পুলিশ ১৩৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১ সুজানগরে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা সুজানগরের পদ্মায় পুলিশের এএসআই মুকুলের ম*রদেহ উদ্ধার নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিন জনকে পিটিয়ে হ*ত্যা উপজেলা সমবায় অফিস নেছারাবাদে সমবায় দিবস পালনের নাম করে সমবায় সমিতি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রাজশাহীতে খরচ বেড়েছে আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা পুরুণে শঙ্কা ঝিনাইদহে সড়ক দু*র্ঘটনায় একজন নিহ*ত রাজশাহীতে ডা. কাজেম হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে সংবাদ সস্মেলন দোয়ারাবাজারে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশে মিজান চৌধুরী ‘ সংস্কার সেরে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন’
রাজশাহীতে খরচ বেড়েছে আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা পুরুণে শঙ্কা

রাজশাহীতে খরচ বেড়েছে আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা পুরুণে শঙ্কা

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে শুধু আলু বীজে খরচ বাড়বে প্রায় ১৪১ কোটি টাকা। অন্যদিকে জমি ভাড়া বাড়বে প্রায় ২৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ফলে সার, শ্রমিক ও কীটনাশক খরচ ছাড়াই বীজ এবং জমি ভাড়ায় চাষিদের বাড়তি গুনতে হবে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা। এ নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রাজশাহীর আলু চাষিরা। ফলে এবার রাজশাহীতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর। এই পরিমাণ জমির জন্য বীজ আলুর প্রয়োজন প্রায় ৯৪ হাজার টন। এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৪ হাজার বস্তা। এবার প্রতি কেজি বীজ আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা ও প্রতি বিঘা জমির আবাদ খরচ বেড়েছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষে কৃষকদের বাড়তি গুনতে হবে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা আলু চাষে খরচ হবে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হবে গড়ে (প্রতি বস্তা ৫৫ কেজি) প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ বস্তা।
জানা গেছে, রাজশাহীর প্রধান অর্থকরি ফসল আলু। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বীজ রোপণ। তবে আলু বীজের দাম বাড়ায় সৃষ্টি হয়েছে নানা সংকট। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আলু বীজের দাম বাড়িয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবারে প্রতি কেজি আলু বীজে ১০ থেকে ১২ টাকা বাড়িয়েছে বিএডিসি।আলু চাষিরা বলছেন, এবার বাজারে খাওয়ার আলুর দামই বেশি। তার ওপর আলু বীজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে। প্রতি বিঘা জমিতে আলু বীজ লাগে ৩০০ কেজি। প্রতি কেজিতে গড়ে ১৫ টাকা বেশি হওয়ায় এবার শুধু এক বিঘা জমিতে বীজ বাবদ চাষিদের বাড়তি গুনতে হবে প্রায় ৫ হাজার টাকা। চাষিরা বলছেন, আলু আবাদের খরচ যেভাবে বেড়েছে তাতে এবার তারা লাভের মুখ দেখবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর হিমাগারগুলোয় এখন বীজ আলু ৭০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বীজ কোম্পানিগুলো বীজ প্রতি কেজিতে দাম নিচ্ছে ৮০ টাকা করে। যদিও বিএডিসির বীজ আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কিন্তু রাজশাহীতে বিএডিসি চাষিদের জন্য মাত্র দেড় হাজার টন বীজ আলু বরাদ্দ পেয়েছে।
রাজশাহীর তানোরের তালন্দ ইউপির নারায়নপুর গ্রামের আলু চাষি মইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে রাজশাহীতে আলু চাষ করে অনেকেই ভালো পরিমাণ মুনাফা করেছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ও বাস্তবতা ভিন্ন।
আলু চাষি গোলাম রাব্বানী বলেন, সার, বীজ, জমি ভাড়া ও কীটনাশক এবং বিশেষ করে শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবারে প্রতি বিঘা আলু চাষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হবে। আলু চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, আলু চাষের ভরা মৌসুমে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোম্পানি, ডিলার, বীজ বিক্রেতা ও হিমাগার মালিকরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। তখন বাড়তি টাকা গুনতে হয় চাষিকেই।
রাজশাহী জেলা বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এবারে বিএডিসির প্রতি কেজি আলু বীজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বিএডিসির বীজের কেজি ধরা হয়েছে ৬০ টাকা। অথচ সরকারি বীজের উৎপাদন খরচ ছিল মাত্র ৩৫ টাকা। সংরক্ষণ খরচ আরও ১০ টাকা বৃদ্ধি পেলে ৪৫ টাকা হয়। এবার বিএডিসিও বীজ আলুর দাম বাড়িয়েছে। বিএডিসি চাইলে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে বীজ বিক্রি করতে পারে।
রাজশাহীর বিএডিসির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, বাজারে খাবার আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বীজ আলুর দাম। কারণ বাজারে খাবার আলু যে দামে বিক্রি হচ্ছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। তা না হলে মানুষ বীজ আলু নিয়ে গিয়ে অনেকেই খাবার হিসাবে বিক্রি করবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছা. উম্মে সালমা জানান, আমরা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি তারা যেন উচ্চফলনশীল জাতের আলু আবাদ করেন। এতে আলুর ফলনটা ভালো পাবেন।#

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD