গৌরনদীর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় ভোগান্তিতে মা ও শিশুরা

কে এম সোহেব জুয়েল ঃ বরিশালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় ভোগান্তিতে পরছেন এলাকার গর্ভজনিত রুগি ও শিশুরা।

২০ অক্টোবর রবিবার বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মিয়ারচর গ্রামে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ও প্রয়োজন মাফিক অফিস স্টাফ না থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে এলাকার গর্ভ জনিত মা ও শিশুদের। সরজমিনে ঘুরে এমনটিই লক্ষ করা গেছে।

স্হানীয় গর্ভজনিত অনেকের মধ্যে খাদিজা বেগম বলেন, সেবা কেন্দ্রটিতে মেডিকেল অফিসার ও পর্যাপ্ত পরিমান লোকবল না থাকায় স্হানীয় গর্ভজনিত মা ও শিশুদের শহর এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে যোগাযোগের দুরাবস্থার কারনে কাউকে আবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতেও দেখা গেছে। সেকমো মোঃ আবির হোসেন (অতিরিক্ত) কে দিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার দায়সারা কাজ করানো হচ্ছে বলে এমন মন্তব্য করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের একাধিক কর্মরতদের মধ্যে পরিবার কল্যান কেন্দ্রের পরিদর্শক এফ ডব্লিউ ভি ঝুমকা বলেন, গর্ভ জনিত রুগিদের সঠিক সেবা ও চিকিৎসা দেয়ার ইচ্ছে থাকলেও মেডিকেল অফিসার নিয়োগ না থাকার কারনে সঠিক ভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেননা তিনি। তাই অতি দ্রুত মেডিকেল অফিসার নিয়োগের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা ফিরে দিতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করছেন তিনি। অপর দিকে জমি দাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও দানবীর মোঃ শাহালম হাওলাদার বলেন, বর্তমান বাজার দরে অর্ধ র্কোটি টাকার জমি দান করেও আশানুরূপ সুফল দেখতে পাচ্ছেননা তিনি, মেডিকেল অফিসার না থাকার করনে রুগিদের সমাগম শুন্যতায়। ভিন্ন দিকে ভবন গুলিও জরাজীর্ণতায় ধংশের দার প্রান্তে পৌছেছে প্রায়। তাই এই মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অতি দ্রুত মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করে কেন্দ্রের জৌলুস ফিরে আনতে কর্তৃ পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জমি দাতা মোঃ শাহালম হাওলাদার।

অপর দিকে, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ড বয় মোঃ সাইফুল ইসলাম, এম এল এস এস রবিন, আয়া হসিনা আক্তার, ক্লিনার নিরাঞ্জন ঘোষ, সহকারী নার্স তানজিলা আক্তার বলেন, ৫/৬ মাসের বেতন ভাতা না পাওয়ায় স্ত্রী পরিজন নিয়ে নিদারুন দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এবং আউট সোর্সসিং থেকে মুখ ঘুরিয়ে সরকারী করন করে যথা নিয়মে বেতন ভাতা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ সরকারের সর্ব মহলে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই কেন্দ্রের ভুক্তভোগী ৪ র্থ শ্রেনীির কর্মচারিরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *