৩৫ বছর পর আদালতের রায় পুলিশী নিষেধাজ্ঞা অমান্য মামলায় হেরেও ঝিনাইদহে বিএনপি নেত্রী দখল করলেন অন্যের জমি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
৩৭ বছর ধরে মামলা চালিয়েছেন। বৈধ কাগজপত্রের অভাবে নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত হেরেও গেছেন। তারপরও পিছু ছাড়ছেন না ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আঞ্জু। আদালতের আদালতের রায় উপেক্ষা করে পরের জমিতে তুলছেন স্থাপনা। এক্ষেত্রে তিনি পুলিশ ও আদালতের কোন বিধি নিষেধ মানছেন না। জমি দখলের এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ শহরের ১৯৭ নং কাঞ্চননগর মৌজায়। ঝিনাইদহ সদর থানা ও সেনা ক্যাম্পে পাঠানো এক অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসে মশার স্ত্রী তৌহিদা খাতুন ও ফরিদা খাতুন কাঞ্চননগর মৌজার অধীনে ১২শতক জমি নিলামের মাধ্যমে আদালতের মধ্যস্থতায় ক্রয় করেন। এ নিয়ে মামলা করেন জমির ওয়ারেশ বিএনপি নেত্রী ফারহানা রেজা আজনু। দীর্ঘ ৩৫ বছর আদালতে মামলা চলতে থাকে। ঝিনাইদহ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তৌহিদা খাতুন ও ফরিদা খাতুনের পক্ষে রায় দেন। মামলার রায় পেয়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ এসে দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমির প্রকৃত মালিককে দখল সত্ব বুঝিয়ে দেন। এদিকে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আদালতের রায় উপেক্ষা করে ওই জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন ওই বিএনপি নেত্রী। তৌহিদা খাতুন রোববার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত এক অভিযোগে জানান, বিএনপি করার কারণে সাবেক কমিশনার আনজু শক্তি প্রয়োগ করে জমি দখল করে ঘর নির্মান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করছেন না। আমি এবং আমার পরিবার পেশি শক্তির কাছে অসহায়। জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আনজু বলেন, এটা তার পৈতৃক সম্পত্তি। আদালতকে প্রভাবিত করে তারা তঞ্চকতার মাধ্যমে রায় নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পায়নি। ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ উভয়পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলতে বলে এসেছে। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মানকাজ বন্ধ করে দিয়ে এলেও পরক্ষনে তা আবার শুরু করেছেন বলে তৌহিদা খাতুনের ছেলে এ্যাড মাজহার সবুজ অভিযোগ করেন।

আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *