কাঁঠালিয়া শৌজালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

সফিকুল ইসলাম শাওন
কাঁঠালিয়া সংবাদদাতা ।।
কাঁঠালিয়া শৌজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের কোনো শেষ নেই। বিভিন্ন সময়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন অন্তত দুই তৃতীয়াংশ ইউপি সদস্য। সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে দরিদ্র মানুষের জন্য সৌদি সররকারে দেয়ার দুম্বার মাংস আত্মসাতের। এছাড়া দীর্ঘদিন তিনি পরিষদে না এসে নিজের বাড়ি অফিস বানিয়েছেন- এমন অভিযোগও রয়েছে। জরুরি কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য তার বাড়িতে যেতে হয়, এতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রিপন চেয়ারম্যান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাসিক মিটিং করেন না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, টিসিবি কার্ড ও কর্মসৃজন ওয়ার্ডভিত্তিক জনসংখ্যা হারে বণ্টন না করে আত্মীয়দের প্রাধান্য দেন। গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ছিল- ট্যাক্স ও হোল্ডিং নম্বরের টাকা আদায় করে মেম্বারদের হিসাব না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তী সময়ে সেই অভিযোগের তদন্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে, ট্যাক্স ও হোল্ডিং নম্বরের টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা না দেয়ার বিষয়টা সামনে আসে। ইউপি সদস্যদের অভিযোগ- তারা এবং ইউনিয়নের জনগণ কোনো সমস্যার কথা জানালে সমাধান না করে চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এছাড়া, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করে বিভিন্ন সময় চল্লিশ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও এনেছেন ইউপি সদস্যরা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন করার কারণে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। সে কারণেই পরিষদে যাই না। অল্প কিছু দুম্বার মাংস পেয়েছি সেগুলো তিনটা এতিমখানায় আর কিছু গরিব মানুষকে ভাগ করে দিয়েছি। এ সময় তিনি অভিযোগকারী ইউপি সদস্যদের বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা না দেয়ার কারণে এসব বলছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *