July 12, 2025, 11:16 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সং-ঘর্ষের ঘটনায় মা-মলা, গ্রেফ-তার-১ পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারা-গারে নেছারাবাদে পনের বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত সহকারি শিক্ষক এস এস সি পরীক্ষায় পাশ মাত্র দুইজন নড়াইলের পল্লীতে ফুটবল খেলা নিয়ে সং-ঘর্ষ, একজন নিহ-ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মো-তায়েন বাবুগঞ্জের পূর্ব রহমতপুরে অটোচালকদের ভাড়া নৈরা-জ্য, যাত্রীরা অতি-ষ্ঠ রাজশাহীতে ২০ কেজি পটল বিক্রি করে মিলছে ১ কেজি কাঁচা মরিচ কাঁচামরিচের যতগুণ হঠাৎ করে দাম বেড়ে ৪০০ টাকা কেজি বাবুগঞ্জের রহমতপুরে রাজার খাল দ-খল দূ-ষণে পরিবেশ বি-পর্যয় প্রশাসনের হ–স্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের আশুলিয়ায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফো-রণে স্বামী স্ত্রীসহ ৪জন দ-গ্ধ যশোর-১ শার্শা আসনে বি এন পি’র ৪ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী, একক প্রার্থী জামাতের
পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন গোদাগাড়ীর কৃষকরা

পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন গোদাগাড়ীর কৃষকরা

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধানচাষে পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার কৃষকরা।

পার্চিং একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ হল ফসলের ক্ষেতে বা মাঠে ডাল বা কঞ্চি ইত্যাদি পুঁতে দেওয়া। কীটনাশক ছাড়া ডাল বা বাঁশের কঞ্চি স্থাপন করে ক্ষতিকর পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করার পদ্ধতিটির নাম পার্চিং পদ্ধতি।

জমিতে উঁচু স্থানে পাখি বসার সুযোগ তৈরি করাকেই পার্চিং বলা হয়। পার্চিংয়ে পাখি বসার সুযোগ পেলে তার দৃষ্টিসীমায় কোনো ক্ষতিকর পোকা দেখা মাত্রই সেটি সে ধরে খেয়ে ফেলবে। পার্চিং পদ্ধতিটি পরিবেশবান্ধব এবং লাভজনক। কারণ এর মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার ও ফসলের উৎপাদন খরচ কমে। এই পদ্ধতির আরও একটি সুবিধা হলো পাখির বিষ্ঠা জমিতে জৈব পদার্থ যোগ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়িয়ে দেয়।

গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, রোপা আমন মৌসুমে রোপা আমন ধানের জমিতে কৃষকরা পার্চিং তৈরি করছেন। এখানে পাখি বসে ধান ক্ষেতের পোকা খেয়ে নিচ্ছে। ফলে ধানের উপরিভাগে আর কীটনাশক দিতে হচ্ছে না।

পার্চিংয়ে বসে দোল খেতে খেতে পাখিরা মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি পোকা, ধানের স্কিপা পোকার মথ, ধানের শিষ কাটা লেদা পোকা, সবুজ শুঁড় লেদা পোকা, শুঁড় ঘাস ফড়িং, লম্বা শুঁড় ঘাস ফড়িং, ও উড়চুঙ্গা পোকা ধরে খায়।
জমিতে সার দেওয়ার পর থেকেই রোপা-আমন, ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে বাদামি ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা এবং চুঙ্গি-মাজরাসহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এতোদিন কৃষকরা এসব পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশকসহ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছিলেন। কিন্তু এখন পোকা দমনে প্রাকৃতিক পার্চিং পদ্ধতি কৃষকের মধ্যে আশা জাগিয়েছে।

গোদাগাড়ী পৌরসভার বর্গাচাষী চাষী আলাউদ্দিন বলেন, ‘পার্চিং পদ্ধতিতে ধান চাষ করে লাভবান হয়েছি। আমার মতো অনেকেই এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। এলাকায় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পার্চিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ।’

মাটিকাটা ইউনিয়নের আরেক চাষী দুলু দেব বলেন, ‘ক্ষতিকর পোকামাকড় চুপচাপ বসে রস চুষে খায় বা ফসল কেটে বা কুরে কুরে খায়। পাখিরা যেন সহজেই ক্ষতিকর পোকামাকড়গুলো দেখতে পায় এবং ধরতে পারে সে জন্যই একটু ঘন ঘন পার্চিং দেওয়া হয়। কৃষিবান্ধব এ প্রযুক্তি ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ থেকে রোপা ক্ষেত রক্ষায় কৃষকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মরিয়ম আহম্মেদ বলেন, উপজেলাতে ধান চাষে পার্চিং পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতিতে ফসলি জমিতে পুতে রাখা ডালগুলোর ওপর পাখি বসে ফসলের জন্য ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলার ফলে আর কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। যার ফলে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়। এ কারণে কৃষকরা জমিতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। সব ধরনের পাখি পার্চিংয়ে বসে না। মূলত ফিঙ্গে, শালিক, বুলবুলি, শ্যামা, দোয়েল, সাত ভায়রা-এসব পাখি পার্চিংয়ে বসে পোকা ধরে খায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গবেষণায় জানা যায় একটি ফিঙে পাখি সারাদিনে কমপক্ষে ৩০টি করে মাজরা পোকার মথ, ডিম ও পুত্তলি খেয়ে থাকে। একটি পাখি প্রতি মাসে হাজার হাজার পোকা ধ্বংস করে। ফসল রোপণের পরপরই পার্চিং স্থাপন করতে হবে।’

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD