December 21, 2024, 12:02 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজজামান শিপনের মতবিনিময় বাবুগঞ্জে ন্যায়ের পথে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস পালিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে: হাসান জাফির তুহিন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ডের জন্ম হতো না: সেলিম রেজা হাবিব  সুজানগরে ৩৩ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন শরীফের সবক প্রদান সুজানগর মহিলা কলেজের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন তানোরে বিএমডিএ চত্ত্বরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে ঝিনাইদহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ভারতীয় নাগরিক আটক
বরেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ড,এম আসাদুজ্জামান

বরেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ড,এম আসাদুজ্জামান

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নতুন চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর সোমবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয়ে বিএমডিএ’র উদ্যোগে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান ড.এম আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমসের আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরীফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম মাহফুজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম ও বিএমডিএ’র সচিব এনামুল কাদিরপ্রমুখ। এছাড়াও বিএমডিএ’র বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।এদিন নতুন চেয়ারম্যান ড,এম আসাদুজ্জামানের আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে বিএমডিএর সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পক্ষে থেকে তাকে
ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রয়াত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
জানা গেছে, বিগত ১৯৪৯ সালের পহেলা নভেম্বর রাজশাহীর
বরেন্দ্রের গোদাগাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন ড,এম আসাদুজ্জামান।রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান আসাদুজ্জামান বড় হয়েছেন। প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রকৃতির রুক্ষতা আর বৈরীতা মোকাবেলা করে। ছোট বেলায় খুব কাছ থেকে দেখেছেন প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের খরাপীড়িত আর দারিদ্রের কষাঘাতে নিষ্পেষিত এ অঞ্চলের কৃষি নির্ভর মানুষগুলোকে জীবন জীবীকার তাগিদে সংগ্রাম করতে। ছেলে বেলায় কৃষকের সঙ্গে মাঠে কাজ করেছেন নিজেদের জমিতে। বিগত ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল
পর্যন্ত ম্যাকডোনাল্ড এ্যান্ড পাটনার- এর কনসালটেন্ট হিসেবে বিএডিসিতে কর্মরত ছিলেন। প্রকল্পের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৭ সালে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে তার যাত্রা শুরু। শুরু হয় বাংলাদেশের ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ- উপরিস্থ সেচ ব্যবস্থাপণা নীতিমালা গভীরভাবে পর্যবেক্ষনের। দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞরা যখন মতামত দিয়েছিল রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে সেচ প্রদান সম্ভব নয়। তাদের মতামতের বিপক্ষে বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন তিনি। পুরো বরেন্দ্র এলাকা ঘুরে কারিগরি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে উপস্থাপন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বিগত ১৯৮২-৮৩ সালে কারিগরি তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর পক্ষে-বিপক্ষে মত সুপারিশ আর তৎকালীন বিএডিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় ডিপ-
টিউবওয়েল গভীর নলকুপ বসানোর।
বিগত ১৯৮৬ সালে প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। শুরু হয় বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কর্মযজ্ঞ। আসে একের পর এক সফলতা। ঠাঁ-ঠাঁ ধুধু বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই
এলাকায় বৃষ্টি নির্ভর এক ফসলের জায়গায় শুরু হয় তিন ফসল উৎপন্ন। সবুজে সবুজে ভরে যায় ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চলের চারিদিক। বৃহত্তর রাজশাহী থেকে রংপুর জেলা পর্যন্ত পুরো উত্তরাঞ্চল-জুড়ে চলে বরেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকান্ড ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়। বরেন্দ্রের অঞ্চলের
প্রাণপুরুষ খ্যাত ড,এম আসাদুজ্জামানের বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান হওয়ার খবরে উল্লাসীত হয়ে পড়েন বরেন্দ্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। ড,এম আসাদুজ্জামানের বড় ভাই
বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, অপর ভাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য ও সাবেক সামরিক সচিব। আরেক ভাই ড, এম এনামুল হক পুলিশের সাবেক আইজিপি, অপর ভাই দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক। তার পরিবারের সকলে উচ্চ শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত। তার মাতা রত্নগর্ভা খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। ড, এম আসাদুজ্জামানকে নিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা নতুন স্বপ্ন দেখছেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD