জীবননগর পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে গরুর খামার, দুর্গন্ধ ও ডেঙ্গু আতঙ্কে এলাকাবাসী।

আল আমিন মোল্লা,
জীবননগর অফিস।

জীবননগর পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার। গোবরের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে এলাকাবাসী।

বায়ুদূষণসহ নানা রকম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তারা ডেঙ্গ রোগের আতঙ্কে হচ্ছে।

জীবননগর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর দক্ষিণপাড়ার অবস্থা এমনই যে, দুর্গন্ধের কারণে ওই এলাকায় কেউ বসবাস করতে পাচ্ছে না।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ মানুষ তার নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া বাসায় বসবাস করতে চাচ্ছে।

যারা এলাকায় অবস্থান করছেন, তারা গোবর-চুনা ও খামারের অপরিচ্ছন্ন ও র্দুগন্ধময় পরিবেশে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। দুর্গন্ধে ঘরে বসে খাওয়ার মতো পরিবেশও নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবেশদূষণ ও দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনে বারবার অভিযোগ করে, এমনকি খামার মালিকদের দ্বারস্থ হয়েও কোনো ফল পাননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার তিনি ১,২,৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বিউটি খাতুন তিনি কোন নিয়মনীতি না মেনে পরিবেশদূষণ করে গরুর খামার স্থাপন করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিউটি খাতুন তার নিজ জমিতে আজিম বিশ্বাসের বাড়িসংলগ্ন দক্ষিণ পাশে গরুর একটি খামার করেন। এর আশপাশে মলমূত্র ও গোবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ওই গোবর, ময়লা-আবর্জনা খামারের পাশেই কোনো রকম গর্ত করে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের মলমূত্র, পানিনিষ্কাশন ও বর্জ্য অপসারণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি।

সামান্য বৃষ্টিপাতে মলমূত্র ও গোবর পানির সাথে মিশে পচা দুর্গন্ধ ছড়ানোসহ মশা-মাছির উপদ্রব বাড়াচ্ছে।

দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে মহিলা মেম্বার বিউটির ভয়তি কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই গরুর খামার।

গরুর গোবর ও মলমূত্র থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। বসবাস করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’

খামারের পাশের বাড়ির আজিম বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্গন্ধে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছে না। নোংরা পরিবেশের কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। ডেঙ্গু বিস্তারের ভয়ে আছি। আমরা এর স্থায়ী প্রতিকার চাই।’

তিনি আরো বলেন বহুদিন ধরে আমাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গরুর খামার ও গোবরের দুর্গন্ধে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়ি গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে হয়।

এ বিষয়ে পৌরসভায় একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি

কারণ তিনি তার দলীয় ক্ষমতার ভায ভীতি দেখান এবং আজিম বিশ্বাস কে বলেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর হাত পা ভেঙ্গে দিব।

এ ব্যাপারে কথা বললে গরুর খামার মালিক মোছা: বিউটি খাতুন বলেন আমি এক মাসের মধ্যে গরু বিক্রি করে দিব।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *