পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে সাবেক কাউন্সিলর মো: ফোরকানের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

আনোয়ার হোসেন,

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

নেছারাবাদে পত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: ফোরকান মিয়া সহ তার সাংঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো: খলিলুর রহমান নামে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। রোববার সকালে নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ত্যব্যে পাঠ করে ওই স্কুল শিক্ষক মো: খলিলুর রহমান।

বক্তব্যে তিনি বলেন, “কাউন্সিলর ফোরকান মিয়া সহ তার স্ত্রী শ্যালকরা খুবই জগন্য প্রকৃতীর লোক। তারা পারেনা এমন কিছু নেই। গায়ের জোরে অন্যর জমি দখল,ক্ষমতার অপব্যবহারে দুর্নীতি করা,খুন খারাপি সব ধরনের কাজে তারা পারদর্শী। যাহার নীরব স্বাক্ষী আমি। ফোরকান মিয়া অবৈধ উপার্জনের দ্ধারা ঢাকায় পাচ থেকে সাতটি ফ্লাটের মালিক হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না গ্রামে তার স্ত্রী বিলকিসের নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। শ্যালকদের দ্ধারা পরিচালিত গরু,হাস,মুরগী ও মৎস্য ঘেরে ফোরকানের রয়েছে কোটি টাকা বিনিয়োগ। ফোরকান মিয়া আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি গায়ের জোড়ে তার বিনিয়োগকৃত ফার্মের পরিধি বৃদ্ধি করতে পানির ধরে অন্যর সম্পত্তি কিনতে ছিলেন মরিয়া। তিনি। তার মৎস্য ঘেরের পাশে আমার সম্পত্তি দখল করে পিলার দিয়ে ভোগ দখল করছেন।

এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে ধাপে ধাপে নির্যাতন করে আসছে প্রতাপশালী ফোরকান মিয়া,তারই স্ত্রী বিলকিস বেগম,সেলিম মিয়া,আলিম মিয়া,ইব্রাহীম,ওয়াহিদ,মেহেদী,ইমরান সহ তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহীনি। ওই স্কুল শিক্ষক আরো বলেন, নিরুপায় আমি পিরোজপুর কোর্টে মামলা দেয়া সহ তখনকার গন্যমান্য আওয়ামীলীগ নেতা সহ জনপ্রতিনিধিদের শরনাপন্ন হয়েও কোন বিচার পাইনি। কারন মো: ফোরকান মিয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের একজন প্রতাপশালী কাউন্সিলর। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি ঢাকা ছেড়ে নেছারাবাদে শশুরবাড়ী এসে পুনরায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করছেন। তিনি পারেনা এমন কোন কাজ নেই। সব সময় তিনি অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করেন। তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি তার বিচার চাচ্ছি।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ফোরকান মিয়ার 01819-115077 মুঠো ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দিয়েছেন। পুনরায় ফোন দিলে ফোরকানের তার ছেলে পরিচয় দিয়ে বলেন, এখন কথা বলা যাবেনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *