শার্শার বাগআঁচড়ায় ব্রীজ নির্মাণে ধীর গতি,ভেলায় পারাপার হচ্ছেন হাজারো মানুষ

আজিজুল ইসলাম,যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বালুন্ডা সড়কের মহিষাকুড়া খালের ওপর ব্রীজ নির্মাণের কাজ ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকার মানুষ। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কোমর পানি জমে গেছে বিকল্প সড়কে। এ কারণে পারা পারের একমাত্র অবলম্বন দুটি কলা গাছের ভেলা। পানি বের হয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণ শার্শার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এরই মধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা- বালুন্ডা সড়কের মহিষাকুড়া ও মাখলার খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। ভারি বর্ষণে বসতবাড়ি, ফসলি জমি সহ এই এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে ভেলায় চড়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের ।

ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচলকারী মোটর সাইকেল,ভ্যান, বাইসাইকেল ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন,শিক্ষার্থি শিশু নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কলা গাছের ভেলায় করে অতি কষ্টে পারাপার হচ্ছে। অতিদ্রুত খালের এই অংশটুকু পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা সহ নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ করার দাবি জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বাগআঁচড়া জামতলা-বালুন্ডা এই সড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।পাশাপাশি শার্শা, বাগআঁচড়া ও নাভারনে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করতে আসে।এছাড়া এলাকার শিক্ষার্থিরা চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। সৃষ্ট সমস্যার কারণে এলাকাবাসী সহ ব্রিজের দুই পাশের লোকজন অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে কলা গাছের ভেলায় করে পারাপার হচ্ছে।অনেক সময় ভেলা না থাকার জন্য সাতার কেটে পার হতে হয়। এখানকার নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করা সহ যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থার জোর দাবি জানান তারা।

শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক জানান,ভারি ও অতি বৃষ্টির ফলে এলাকা ডুবে গেছে।যা মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।ঠিকাদারের সাথে আলোচনা হয়েছে।এক সপ্তাহের মধ্যে পানি নিস্কাশনের মাধ্যমে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেব।ব্রীজটা আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শার্শার সীমান্তের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও চলতি মৌসুমে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের কারণে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে এই এলাকার মানুষ। শুধু আশ্বাস নয় অচিরেই সমস্যার সমাধান ঘটবে এমনটাই কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *