December 30, 2024, 5:25 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটে বৃষ্টিতে সবজি ও মাছের ৫০কোটি টাকার ক্ষতি ২১ হাজার কৃষক পরিবার বিপাকে

সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটে বৃষ্টিতে সবজি ও মাছের ৫০কোটি টাকার ক্ষতি ২১ হাজার কৃষক পরিবার বিপাকে

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় শস্যভাণ্ডার নামে খ্যাত উর্বর ভূমি বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় বৃষ্টিতে সবজি ও মাছে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে সাড়ে ৭ হাজার মাছের ঘের। ফসল নষ্ট হয়েছে ২১ হাজার কৃষকের। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও জেলা মৎস্য অফিসের সর্বশেষ হিসেবের পর এই তথ্য জানা গেছে। তবে চাষিদের দাবি ক্ষয়ক্ষতির এ পরিমাণ আরো অনেক বেশি হবে। এ ক্ষতির কারণে ঋণগ্রস্থ কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, বাগেরহাটে রোপা আমনের ৪৫৩০ হেক্টর জমি, সব্জির ২১৬ হেক্টর ও পানের ৩৭ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত ছিল। এতে ২১ হাজার ১৩৬ জন কৃষকের ৩৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গলদা চিংড়ি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা জেলার ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিরা। এর সাথে মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষিদের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। চাষিদের দাবি কয়েকশ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে এই পানিতে। চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া বিলের মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্সের মালিক জাহিদুল ইসলাম জানান, ওই বিলে তার প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে মাছের ঘের রয়েছে। সেখানে চিংড়িসহ অনেক প্রজাতির মাছ রয়েছে। আর কয়েকদিন পরে তিনি মাছ ধরা শুরু করবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ঘের ডুবে সব মাছ বের হয়ে গেছে। এখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে জানান।
ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার কাজী মিরাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের পাড়ের উপর হাটু পানি ছিল। নেট, কচুরিপানা ও ঘাষ দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্ঠা করেছিলাম কিন্তু কতদূর আছে জানিনা। মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদী তীরবর্তী পৌরসভাসহ কমপক্ষে ৪০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে ৩ শতাধিক মৎস্য ঘের। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ১ হাজার হেক্টর ফসলি জমির রোপা আমন ধানের ক্ষেত।এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ৪ দিনের প্রবল বর্ষণে উপজেলার নিচু এলাকার মৎস্য ঘেরগুলো তলিয়ে গেছে।ডুবে গেছে ৩ শতাধিক মৎস্য ঘের।১ হাজার হেক্টর সবজির ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ১ হাজার হেক্টর ফসলি জমির রোপা আমন ধানের ক্ষেত।এতে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের ঘুরে দাঁড়াতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল বলেন, জেলার সাড়ে ৭ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের ঘুরে দাঁড়াতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টিতে বাগেরহাটে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়। চিংড়ি সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে চাষিদের সরকারি সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। ##** ছবি সংযুক্ত আছে ** ## **

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD