December 30, 2024, 5:34 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
তরুন প্রজন্মের অহংকার আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান

তরুন প্রজন্মের অহংকার আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান

লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ কলিন পাওয়েলের মতে, ‘যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।’ নেতা হবে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। মানুষ যাকে দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে সাহস ও মনোবল খুঁজে পাবেন, তিনিই হবেন নেতা। একজন নেতাকে তার প্রতিটি কাজের জন্য যোগ্য লোক বেছে নেয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। সেইসাথে, তাদের ওপর বিশ্বাস রাখার ক্ষমতা থাকতে হবে। যে অন্যের ওপর বিশ্বাস করতে পারে না, বুঝতে হবে তার আসলে নিজের বিচার বিবেচনার ওপর বিশ্বাস নেই। নিজের বিবেচনার ওপর বিশ্বাস না থাকলে তাকে কোনওভাবেই নেতা বলা যাবে না। ভাঙ্গন নয়, গড়ার কাজই করেন একজন আদর্শ নেতা। ভালোবাসতে পারলে শত্রুও একদিন বন্ধুতে পরিণত হয়। নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা একজন মানুষকে সাধারণ থেকে অসাধারণ নেতৃত্বের উপযোগী করে তুলতে পারে। সাথে দক্ষতা, সচেতনতা, ইতিবাচক মনোভাব, নেতৃত্বের গুণাবলি আরও বাড়িয়ে দেয় তারেক রহমানের মধ্যে এ সব গুন রয়েছে।

বাংলাদেশের উপর পরাশক্তি বিশেষ করে ইন্ডিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তি যোদ্ধা (বীরউত্তম) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তারিধাকারী তারেক রহমানের যে বিকল্প বাংলাদেশে নেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশের নিপিড়িত জনগন। ‘স্বাধীনতার মহানায়ক শহীদ জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান বাংলা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। দেশের সাবেক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান তিনি। তরুন প্রজন্মের অহংকার তারেক রহমান। ‘সেনা সমর্থিত’ মঈন-ফকরুদ্দীন এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দেশপ্রেমিক নেতা তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে ১৩টি হাস্যকর মামলা করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তাকে মোট নয়দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে অমানসিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে দেয় তৎকালীন স্বৈরশাসকরা। এরপর ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ বছরের ১৯ জানুয়ারি নানি বেগম তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুতে তারেক রহমান মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। দীর্ঘ ১৮ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সব মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। তিনদিন পর লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হবে তাই সেখানের (নর্থ লন্ডন) একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানেই আছেন তিনি।

সে সময় তারেক রহমান দল ও দেশের জন্য এক অনন্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করে যুগান্তকারি কর্মসুচি বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে গন জাগরনের সৃষ্টি হয়েছিল নেতা কর্মিদের মধ্যে ফিরে এসেছিল প্রাণ তারেক রহমানের মাঝে খোজে পয়েছিল তাদের প্রাণ প্রিয় নেতার প্রতিচ্ছবি, আর সে কারনে ভীত হয়ে মঈন-ফখরুদ্দিন গংরা ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সেদিন তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু জনগনের ভালবাসা আর দাবীর মুখে তারা তাকে জেলে আটকে রাখতে পারেনি। আসলে কল্পিত দুর্নীতির অপপ্রচার চালিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল। কারাগারে যেভাবে তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে আর কোনো রাজনীতি নেতার ওপর এভাবে নির্যাতন করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দেয়া হয়েছিল। তবে একটি মামলাও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। সব মামলা গুলো ছিল ভিত্তিহীন রাজনৈতিক উদ্দোশ্যপ্রনোদিত, হয়রানিমূলক যার একটি ও এখনো প্রমান করতে পারে নাই,‘শোনা গেছে, এর মধ্যে ১১টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। রাখে আল্লাহ মারে কে। কারন জিয়া পরিবারের উপর দেশ বাসীর দোয়া ও আল্লাহের রহমত আছে। তিনি এখন একে একে মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন।

আর যদি মতলববাজ ফখরুদ্দীন মইনুদ্দিনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে খালেদা জিয়া যদি তখন শেখ হাসিনার মত দেশ ত্যাগ করতেন তখন তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমানকে গ্রেফতার হতে হতো না। মইনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা এখন সবাই জেনেছে। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের ধারাবাহিকতায় এখনও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। অতীতের মত পতিত শেখ হাসিনা সরকারও তারেক রহমানকে টার্গেট করেছিল । কারণ তারেক রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। বাবার মতোই তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শুনেছেন, সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন। জনগণের সঙ্গে তারেক রহমানের গভীর ভালবাসা আওয়ামী লীগ কখনও মেনে নিতে পারেনি। তারেক রহমানকে শেষ করতে পারলে কিংবা জিয়া পরিবারকে বিতর্কিত করতে পারলেই বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে দেয়া যায়। এ কারণেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে চালানো হয়েছে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার যা অব্যাহতভাবে চলছে।

মানুষ আজ সন্ত্রাস, ফ্যাসিবাদী হাসিনার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়, বিদ্যুৎ চায়, পেট ভরে খেতে চায় কিন্তু বাকশালী সরকার শুধু জিয়া পরিবারের কুৎসা করেই সময় কাটাচ্ছেন কোথাও কোন উন্নয়ন নেই, মানুষের কাজ নেই, বেঁচে থাকার অবলম্বন টুকু কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। নাভিস্বাস উঠেছে এই সরকারের প্রতি, তাই দেশের মানুষ আজ ফেসিস্ট বাকশালী স্বৈরশাসন থেকে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গত আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন। সরকার পরিবর্তন হয়ে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশংসায় ভাসছেন। তিনি কোটি কোটি মানুষের শেষ আশ্রল স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

ডিজিটাল নামক ফেসিস্ট বাকশালী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আতঙ্কে ছিল তারেক রহমানের। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইন্তেকাল। এ কারণেই আওয়ামী লীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মরিয়া ছিল। তবে দেশের কোটি কোটি মানুষ আশা করে তরুন প্রজন্মের অহংকার এই তরুন রাজনীতিবীদ তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়েই বীরের বেশে দেশে ফিরবেন তার রাজনীতিতে আবারও সরব উপস্থিতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তার বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন বেগম খালেদা জিয়ার পরে বাংলাদেশের মাটিতে তিনিই হবেন বিএনপির কর্নধার। আগামী দিনের তারেক রহমান হবেন চৌকষ রাজনৈতিক প্রশাসন সমন্বয়ে এক সমন্বিত সফল প্রতিষ্ঠান, আদর্শের রাষ্ট্রনায়ক। তারেক রহমান ফিরে আসবেন নতুন তারেক রহমান হয়ে। যার চারপাশে ঘিরে থাকবে রাষ্ট্রপরিচালনার বেষ্ট আইকনরা। বাকশালী নিকৃষ্ট শাসনে, নিপিড়নে ইসলাম, জনজীবন, দেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। কালো রাতের মাঝ প্রহর পেরিয়ে গেছে তার সাথে সাথে গোটা বাংলাদেশ প্রতিটা দিন গুনছে নতুন দিনের আশায়। কালো রাতের প্রহর শেষে অবশ্যই আসবে নতুন ভোর, আসবে সোনালী সূর্যোদয়। ফিরে আসবেন নতুন তারেক রহমান। সেই নবপ্রভাতের নতুন আলো দেখার জন্য অধীর আগ্রহে তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করছেন গোটা দেশবাসী।
সীমাহীন মিথ্যা অপপ্রচারের পরেও দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে এখনো তারেক রহমান। দেশের মানুষ আবার বিএনপিকে ভোট দিবেন এবং ক্ষমতায় বসাবেন। তখন তারেক রহমানই হবেন নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক।

তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার প্রথম ছেলে। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশের ৭ম রাষ্ট্রপতি এবং তার মা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উনার আদরের একমাত্র ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকো। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কনিষ্ঠ কন্যা চিকিৎসক জুবাইদা রহমানকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে, ব্যারিষ্টার জাইমা রহমান । রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে দিন রাত পরিশ্রম করে দলকে সু-সংগঠিত করছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তিনি সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ঢাকা) এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। প্রথমে তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে স্থানান্তরিত হন।
১৯৮৮ সালে, তারেক রহমান দলের গাবতলী উপজেলার প্রাথমিক সদস্য এবং পরে বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য হিসাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়, যখন স্বৈরাচারী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক সরকারে রূপান্তর ঘটছিল তখন তারেক রহমান সক্রিয়ভাবে দলের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছিলেন। তিনি বিএনপির জাতীয় প্রচারাভিযান কৌশল কমিটির সদস্য ছিলেন এবং তার মা খালেদা জিয়া যে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন সেখানে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ের দায়িত্বও পালন করেন। সেই সময়ে তিনি সক্রিয়ভাবে বগুড়ার বিএনপি ইউনিট গুলোকে সংগঠিত করেন এবং রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী, কর্মীবান্ধব ও উন্নয়নমুখী করতে সহজাত সংস্কৃতি পরিবর্তন করেন।

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সাফল্য এবং নতুন সরকার গঠনের পর, রহমানকে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে দলের সিনিয়র ভূমিকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার জন্য তিনি উচ্চ পদে অনীহা প্রকাশ করেন।

বহু বছর ধরে তিনি বিএনপির বগুড়া ইউনিটের উন্নয়নে তৎপর ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়, দলের তৃণমূল এবং সিনিয়র নেতৃত্ব তাকে বগুড়া থেকে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তিনি তৃণমূল পর্যায়ে তার কাজকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং তার মায়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয় করার লক্ষ্যে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন।

১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে, তারেক রহমান সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি সক্রিয়ভাবে অর্থনৈতিক বঞ্চনার সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য প্রচারণা চালান এবং গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী জনগণের দুর্দশার কথা প্রকাশ করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মসূচিতে সফল হন।

এই বৃহৎ পরিসরের কর্মসূচী, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রকৃতির প্রথম, সরকারের বিরুদ্ধে গণসংহতি গড়ে তোলে, যা ফলস্বরূপ, বিএনপিকে ক্ষমতায় ফেরাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। খোলা পরিষদের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের জন্য তিনি বগুড়ায় গোপন ব্যালট পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন।

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল, ১লা বৈশাখ, খুলনা জেলার দীঘলিয়া ও রূপসা থানায় আয়োজিত স্বাস্থ্যমেলার সফল আয়োজন দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই সংগঠনের। “একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা” এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র ধরে যাত্রা শুরু করা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন-এর ভিশনারি প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বিশ্বাস করেন আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ যদি ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে এই দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি আসবেই। এ লক্ষ্যে তিনি প্রাথমিক অবস্থায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে, শিক্ষাখাতে, কৃষিখাতে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণ করেন।

২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে, দলটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ব্যাপক বিজয় লাভ করে। সরকারের মধ্যে অবস্থান নেওয়ার জন্য দলের তৃণমূলের পাশাপাশি জাতীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রহমানের ওপর ব্যাপক চাপ ছিল। কিন্তু তিনি বারবার রাজি না হয়ে দলের মধ্যে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

২০০২ সালের জুনে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটি কর্তৃক যুগ্ম মহাসচিব নিযুক্ত হন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, তিনি দলের কর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় “তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন” এর পাশাপাশি “বিভাগীয় সম্মেলন” এবং “উপজেলা সম্মেলন” নামে একটি কর্মসূচি চালু করেন। সারাদেশে দলের শতাধিক সভায়ও তিনি যোগ দেন, সেই সব সভায় দলের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।

২০০২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সফরকালে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি পরিদর্শন করেন যা রাজনৈতিক সহনশীলতা পরিচয়। এসময় তিনি বিভিন্ন সমাবেশে উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিক্রিয়া পত্রে স্বাক্ষর করেন। এই প্রতিক্রিয়া পত্রগুলিতে আঞ্চলিকভাবে নির্দিষ্ট সমস্যা এবং সেগুলি কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ১৮,০০০টি চিঠি স্বাক্ষরিত হয়।

তিনি ২০০৯ সালে বিএনপির ৫ম জাতীয় কাউন্সিলে রহমান রহমানকে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।

তারেক রহমান বিভিন্ন কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রাখেন। হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ ও মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে স্বাবলম্বী হতে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে যান।

৪ জানুয়ারী ২০১৪-এ, ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায়, রহমান বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সময় এসেছে আমাদের সকলের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ ও বর্জন করার। ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে।”

১ সেপ্টেম্বর ২০০৮-এ রহমানের মা খালেদা জিয়ার মুক্তির পর, তিনি সেন্ট জন’স উডের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ওয়েলিংটন হাসপাতালে বিদেশী চিকিৎসার জন্য লন্ডন, যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সেনাবাহিনী সমর্থিত ১/১১ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর সময় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করে।

দুর্নীতি দমন কমিশন তারেক রহমান এবং ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা করেছে, যা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ এখনো কমিশনে প্রমাণিত হয়নি। ১৬ অক্টোবর ২০০৯-এ হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশকে ব্যাখ্যা করতে বলে যে কেন খালেদা জিয়া ও রহমানের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি জিয়ার দায়ের করা একটি পিটিশনে বাতিল করা হবে না।

২০ নভেম্বর ২০০৯, বিএনপি ছাত্র ফ্রন্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) তার পৈতৃক জেলা বগুড়ায় রহমানের ৪২ তম জন্মদিন পালনে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বলেন, তার ছেলে বিদেশ থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেবেন। তিনি বগুড়া যাওয়ার পথে কয়েকটি জনসভায় ভাষণ দেন এবং অভিযোগ করেন যে বর্তমান সরকার তার ছেলে যাতে দেশে ফিরতে না পারে সেজন্য তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, “তারেক দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন, কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে তাকে ধ্বংস করার জন্য প্রচুর মামলা করা হয়েছিল।” তিনি আরও যোগ করেন, “২০০৭ সালের ৭ মার্চ তাকে তুলে নেওয়া হয়, আমার ঠিক সামনেই একটি গাড়িতে। কিন্তু হেফাজতের পর আমার ছেলেকে স্ট্রেচারে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হয়েছে । চিকিৎসকরা বলেছেন তার সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে” তিনি অভিযোগ করেন যে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার মিথ্যা মামলা করেছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে এবং তারা এখন তারেক রহমানকে হুমকি মনে করছে। তিনি আরও বলেন, তিনি যাতে ফিরতে না পারেন সেজন্য নতুন মামলা করা হচ্ছে।

২০০৯ ইং সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৫ তম জাতীয় কাউন্সিলে, রহমানকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তিনি লন্ডন থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে হাজির হয়ে বাংলাদেশের জনগণ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। তিনি স্বীকার করেন, তার চিকিৎসা এখনো চলছে। সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২৫ জুলাই ২০১৩, তারেক রহমানকে লন্ডনে দলের প্রবাসী সমর্থকদের দ্বারা আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি তার ধারনা শেয়ার করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার রূপরেখা দেন।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু প্রতিনিধি তারেক রহমানের সাথে দেখা করেন এবং কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তাদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের আশ্বাস দেন। ৭ জুন ২০০৭ তারিখে তারক রহমান এবং ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করেন। ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে আদালতের দেওয়া রায়ে, ২০.৪১ কোটি টাকার মামলায় রহমানকে খালাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: “তারেক ও মামুনের অপরাধে সমান ভূমিকা ছিল। তাই আইনগতভাবে পার্থক্য করার সুযোগ নেই।” এটি ছিল সতেরটি মামলার একটিতে প্রথম রায়। এর মধ্যে ১২টি মামলা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

বিএনপির কর্মকর্তা ও নেতারা দাবি করেছেন যে এই রায় তার নির্দোষতার প্রমাণ এবং তার দুর্নীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং রহমানের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।

৩ নভেম্বর ২০০৮-এ, একটি ফাঁস হওয়া মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় বলা হয় যে ঢাকার দূতাবাস বিশ্বাস করে যে তারেক রহমান “মহারাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য দোষী যা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে”। ১৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের একটি মেট্রোপলিটন আদালতের দেওয়া রায়ে, আদালতের বিচারক বলেছিলেন যে খাদিজা ইসলাম, যিনি মামুনকে টাকা দিয়েছিলেন তিনি আদালতকে বলেননি যে তারেক রহমান ঘুষ চেয়েছিলেন বা তাকে দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিয়েছিলেন। কোম্পানীর কাজ তারেক রহমান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি এবং আদালতে এমন কোনো নথি উপস্থাপন করা হয়নি যা প্রমাণ করে যে তিনি টাকা নিয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান, মামুনের মাধ্যমে খাদিজাকে টাকা দাবি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন এমন দাবিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ৯ ডিসেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।

বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম কেমব্রিজ, একটি অলাভজনক সংস্থা, ২০১৩ সালে দ্য পলিটিক্যাল থট অফ তারেক রহমান শিরোনামে ১৭ টি নিবন্ধের একটি সংকলন প্রকাশ করে। বইটি জুন ২০১৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছিল। আগস্ট ২০১৩ সালে, নিউ ইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আমেরিকান সংস্করণ চালু করা হয়েছিল, তারপরে অস্ট্রেলিয়ান, কানাডিয়ান এবং জার্মান সংস্করণগুলি যথাক্রমে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় এবং উলম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ২০১৩ এর মধ্যে চালু হয়েছিল।

২০১৮ নির্বাচনের সময় উনি লন্ডন থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন । নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দলকে সু-সংগঠিত করার লক্ষ্যে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি করন, প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে নিজে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তৃণমুল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি উনার “টেইক ব্যাক বাংলাদেশ” সর্বসাধারনের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে মিডিয়া সেল গঠন করে সকল শ্রেনী-পেষার মানুষকে এক করে বি এন পি এর ভিশন সম্পর্কে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
তার নেতৃত্বে বাংলাদেসশ জাতীয়তাবাদী দল এই মুহুর্তে অনেক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ।
বলাবাহুল্য, সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি গঠন করেন। প্রথম থেকেই বিএনপির লক্ষ্য ছিল, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্বনির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এগুলোর ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই ১৯ দফার উপরে ভিত্তি করে বিএনপির রাজনীতির মূল নীতি ও আদর্শ প্রসারিত।

২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অবধি বাংলাদেশ নানাভাবে বিভেদে নিমজ্জিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হলেও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা অনৈক্যের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ভোট চুরির মচ্ছবের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্টের তকমা পেয়েছে। গণতন্ত্রহীন পরিবেশ ও বাকস্বাধীনতা হরণের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গণঐক্যের চেতনা গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা বিতারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি ছিল ভারতের কাছে নতি স্বীকার করার নীতি। এজন্য ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্যকোনো দেশ তাঁকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। ২০২৪ সালে গণ-আন্দোলনের পর যে যুবসমাজের জন্য আমরা গৌরব বোধ করছি, সেই যুবসমাজ নিয়ে নারী-পুরুষ সকল স্তরের মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ছিল দৃশ্যত অগণতান্ত্রিক উপাদানের পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার উপস্থিতি এবং শাসন পরিচালনার জন্যে শক্তি প্রয়োগের ওপরে নির্ভরশীল একটি অকেজো রাষ্ট্র। গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রের আনূকূল্যে ও ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে নতুন ধনিক শ্রেণি। গড়ে ওঠা এই শ্রেণির মধ্যে জবাবদিহি ও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার প্রচলনের আকাক্সক্ষার ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত এক নির্ধারক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ বারবার রাজনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি পড়েছে। ১৯৯১ সালে দেশে নির্বাচিত বেসামরিক শাসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চালুর পরে আশা করা হয়েছিলো যে, এই ধরনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটবে। কিন্তু তার পরিবর্তে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিশেষত ২০০৯ থেকে ২০২৪ অবধি নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকটগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

২০০৮ সালের নির্বাচনের পর, বিশেষ করে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর পর, বাংলাদেশে নতুন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। অন্যান্য দেশে বিরাজমান এই ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে এন্ড্রিয়াস স্যাডলার বলেছেন, এই ব্যবস্থায় যা চলে তা বহুদলীয় রাজনীতির খেলা এবং নির্বাচন গণতন্ত্রের নয়, কর্তৃত্ববাদের হাতিয়ারে পরিণত হয়। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে এই ধরনের ব্যবস্থা সহজেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই তা ভিন্ন হতো কিনা, কিংবা এর কারণ ২০১৫ সালের শুরুতে বিএনপি’র আন্দোলন কিনা সেটা এখন প্রশ্নসাপেক্ষ। কেননা, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরপরই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে আর কোনভাবেই রাজনীতিতে জায়গা দিতে আগ্রহী নয়। ২০১৫ সালে ১ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘দেয়ার ক্যান বি অনলি ওয়ান’ (কেবল এক পক্ষই থাকতে পারবে) শিরোনামের এক নিবন্ধে জাফর সোবহান সু¯পষ্টভাবেই বলেছিলেন যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গেম প্ল্যান খুব ¯পষ্ট। আগামী বছরে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা খুব সোজাসাপ্টা : চেপে ধরে বিএনপির প্রাণবায়ু বের করে ফেলা অব্যাহত রাখা।

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সরকারের প্রতি অন্ধ আনুগত্যে পরিণত করেছিল। বিশেষত মিডিয়াকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ, স্বতঃপ্রণোদিত সেন্সরশিপ এবং দলীয় আনুগত্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যাতে করে গণমাধ্যমগুলো সমাজের বৃহদাংশের কাছে আবেদন রাখতে ব্যর্থ। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতিবিদদের আচরণের কারণে দল নির্বিশেষে রাজনীতিকেই দোষারোপ, তরুণদের মধ্যে রাজনীতির প্রতি অনীহা তৈরি এবং এই ধারণা সৃষ্টি যে, তাঁদের ব্যক্তিগত সাফল্য দেশের সার্বিক রাজনীতি থেকে আলাদা সেটা ইচ্ছে করেই তৈরি করা হয়েছিল। সমাজে যারা আছেন তাঁদেরকে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা তখন প্রতিদিনের বিষয় ছিল। সে কারণে বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং গুমকে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করা হয়েছিল।

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সময় এক ধরনের প্রবৃদ্ধিকে উন্নয়ন বলা হলেও তার সুফল সকলে সমানভাবে ভোগ করেছে, তা কিন্তু নয়। তদুপরি এই ধরনের প্রবৃদ্ধি সমাজের শ্রেণিবিন্যাস বদলে দেয় এবং তার প্রভাব পরে রাজনীতিতে। আওয়ামী লীগের সময় বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত রাখা অর্থের পরিমাণ, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের সেকেন্ড হোমের সংখ্যা এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির (জিএফআই) তৈরি করা হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ এসবই বাংলাদেশে বিত্তবানদের সংখ্যা এবং সম্পদের প্রমাণ দেয়।

রাষ্ট্র সংস্কারের যে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তা রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একথাও প্রত্যেক নাগরিককে মনে রাখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে, এটাই প্রত্যাশা। সময়মত দেশে বিদেশে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে সকলের নিকট হতে প্রশাংসা কুড়াবেন। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টাদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে কেউ হাউকাউ, কথায় কথায় বিরোধীতা করলে হবে না। যারা করতে চান তারা ১৮ বছর কি করেছেন, কোথায় ছিলেন? ভারতে বসে ঘোষটি বেগম একের পর এক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজবপন করছেন, ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা তথ্য, রংচং করে প্রচার করছেন, যা শক্তহাতে দমন করছেন বর্তমান সরকার। ফলে সফল হতে পারছেনা।

বিএনপি একটি বড় দল দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলের ভিতরে থাকা কিছু নেতা পাতিনেতা বিগতদিনে আওয়ামীলীগ নেতার সাথে গোপন আতাত করে সুবিধা নিয়ে দল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন, বিএনপি নেতাদের নামে মামলা করিয়ে জেলে পাঠাতে সাহায্য করেছেন, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ আওয়ামীলীগ দলীয় পদপদবী গ্রহন করে মাদার অফ ম্যাফিয়া অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাজার হাজার ব্যালট পেপারে আগাম নৌকায় সীল মেরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ওইসব সুবিধাবাদী বিএনপির নেতারা রহস্যজনক কারনে কোন কথা বলছেন না। মামলা করলেও তাদের আসামী করছেন না। পদপদবীধারী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগের নেতারা নিয়োগবানিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজী, হাটঘাট, করিডোর, কাষ্টম, সাব-রেজিষ্টার অফিস, বালুমহল, জলমহল, খাসপুকুরসহ বিভিন্নভাবে কোটি কোটি কাল টাকার সম্পদ গড়েছেন তাদেরকে আসামী না করে বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মী, সিনিয়ার সাংবাদিক, কলামিষ্টসহ তৃনমূল বিএনপির কর্মী, শ্রমিক, কলেজ শিক্ষকেও আসামী করেছেন ফলে দলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ নজীরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানায় দায়েরকৃত ২টি মামলায়। রাজশাহী জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪৫ জন নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০-৬০০ জনের নামে মামলা করেন। বাদী নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ও ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে বিএনপির ৬-৭জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছেন, সেখানে বিএনপির নেতা কলেজ শিক্ষক সুমনকে আসামী করা হয়েছে। একই কায়দায় গত ২৮/০৮/২৪ ইং তারিখে গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলীপ গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন যার নম্বর ৩২, ওই মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০/৬০ কে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপি পরিবারের সদস্য, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলীসহ কয়েকজনকে অসৎ উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে। অথচ যারা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের পদধারী নেতাদের মামলায় আসামী করা হয় নি বাদীর বাড়ীর পাশে অবস্থান করে নির্বাচনী অফিস, বাড়ী ভ্যাংচুর, আগুন দিয়েছেন ওই সব নেতাদের আসামী করা হয়নি। যারা লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, আওয়ামীলীগের নেতা ও মেয়র, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, এমপি ফারুর চৌধুরীর ডান হাত বাম বলে খ্যাত, থিম ওমর প্লাজায় বসে কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য, খাস পুকুর বানিজ্য, খাদ্য গুদামসহ বিভিন্ন প্রকল্প করে লুটে নিয়েছেন কোটি কোটি, ওমর প্লাজায় ফ্লাট, দোকান বাড়ী কিনেছেন রহস্যজনক কারনে মামলার আসামী করা হয়নি। মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। এমন কি আওয়ামীলীগ দলীয় পদ নিয়ে প্রত্যেক নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হয়ে রাতের আধারে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাজার হাজার ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মেরেছিল তাদেরকেও আসামী করা হয়নি। অবিলম্বে মামলা থেকে ওই সাংবাদিক, বিএনপির নেতা কর্মী নাম প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মী গোদাগাড়ী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে মিথ্যা মামলাবাজ ওই দুই নেতার বহিস্কার দাবী করেছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম কেন্দ্রীয়কমিটিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই সব সুবিধা নেতারা কেন্দ্র, বিভাগ, জেলা, উপজেলার সিদ্ধান্ত ছাড়ায় মামলা করেছেন। ব্যক্তিস্বার্থে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এ চিত্র শুধু গোদাগাড়ীতে নয়, দেশের অন্য অন্য স্থানে ঘটছে, বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন মারা গেছে, যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে, কিছু সুবিধাবাদী নেতা বহিষ্কার হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুটপাট,
চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলা হচ্ছে, অভিযোগও বিস্তর যা পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আনলাইন নিউজ পোটাল, টিভি নিউজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। ওই সব সুবিধাবাদী বিএনপির নেতাদের থামাতে হবে এখনই। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের মধ্যে দ্বন্দ্বসৃষ্টিকারী নেতাদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন না এরা বিএনপি তথা খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ভাল চান না এরা তৃতীয় পক্ষের হয়ে কিংবা শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের হয়ে বিগত দিনে কাজ করেছেন এবং এখনও কাজ করছেন বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জোর দিয়ে বলেছেন, দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাবধান হতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়। একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে, দিল্লি এদেশের অপরাধীদের আশ্রয় দেয় আর সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিল। দেশের সম্পদ লুট করে পার্শ্ববর্তী দেশের ফায়দা করেছে শেখ হাসিনা। দিল্লির গ্যারান্টি নিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। এ জন্য গুম, খুন থেকে শুরু করে দেশের মানুষকে ক্রীতদাস করে রেখেছিলেন তিনি। প্রশাসনে এখনো দুর্নীতিবাজেরা রয়ে গেছে। তাদের হাতে প্রচুর টাকা। তারা যে কোনো সময় স্যাবোটাজ করতে পারে। মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে হয়রানিমুক্ত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে। যত কালো আইন আছে, তা এখনো বাতিল হলো না কেন।
আগামীতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হলে, বিভেদ ভুলে সবাইকে এক সাথে কাজ করতেই হবে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের চীনের সীসা ঢালা প্রাচীরের মত শক্তিশালী ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

লেখক: মো. হায়দার আলী
গোদাগাড়ী উপজেলা শাখা,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD