বাগেরহাটে তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.বিশেষ প্রতিনিধি:তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, তারপরও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শরণখোলা চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলো পড়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। দিন কিংবা রাত সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং। দিন-রাত সমানতালে লোনফেকশনারি ডশেডিং হচ্ছে এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।এদিকে এই লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে।
জানা যায়, বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর আওতাধীন এলাকা শুধু মোরেলগঞ্জ,শরণখোলা নয়, কচুয়া, বাগেরহাট সদরসহ জেলার অন্য ৮টি উপজেলা এবং বাগেরহাট শহরে তীব্র লোডশেডিং গত দেড় সপ্তাহ ধরে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় অর্ধেকের বেশি সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে শিশু-বৃদ্ধসহ বাড়িতে থাকা অসুস্থ মানুষজনকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরে থাকতে পারছেন না তারা। ফলে গাছের ছায়ায় ঠাণ্ডাযুক্ত স্থানে মাদুর বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও খাবার রান্নাসহ ঘরের আনুষঙ্গিক কাজ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। রাতেও বিদ্যুতের একই অবস্থা হওয়ার কারণে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন এ এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা যেখানে ২৬ মেগাওয়াট সেখানে বিদ্যুতের যোগান ১৪মেগাওয়াট।

রাফি স্টোরের ব্যবসায়ী আ: রফ ফকির বলেন, গরমে আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংসের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এই লোডশেডিংয়ের কারণে আইসক্রিম গলে যাচ্ছে ও কোল্ড ড্রিংকসও গরম হয়ে যাচ্ছে।
খান আবুবকর সৃতি ইসলামী একাডেমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোসাম্মাদ সানজিদা ইসলাম জুই বলেন, বিদ্যুতের এই অবস্থায় পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান মুহম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, সারা দেশে ব্যাপকহারে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। লোডশেডিং কমাতে হলে প্রথমত আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা গেলে তুলনামূলকভাবে লোডশেডিং কমিয়ে আনা সম্ভব।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় জানান, আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা দিতে গিয়ে লোডশেডিং হচ্ছে।২৬ মেগাওর্য়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে আমরা ১৩ থেকে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাই।চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান থাকলে গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হতো না। তীব্র গরমে লোডশেডিং কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। যার কারণে কিছুটা লোডশেডিং হয়ে থাকে। একদিকে প্রচণ্ড তাবদাহ হওয়াতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। এছাড়া চাহিদার সংকুলান না হওয়ায়, জাতীয় গ্রিড থেকেও মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

তবে আবহাওয়া কিছুটা শীতল হলে চাহিদা কমবে এবং লোডশেডিংয়ের মাত্রাও কমে যাবে বলে জানান তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *