কালকিনিতে প্রখ্যাত কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

মো:মিজানুর রহমান,কালকিনি প্রতিনিধি/
প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কালকিনি উপজেলা লন্ঠন শাখার আয়োজনে ও সৈয়দ আবুল একাডেমীর শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক বিএম হেমায়েত হোসেন, লন্ঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বজল, সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম, রিফাত, শামীম, হাসিব ঢালী, মিন্টু, তানভীর, শাকিল, অভি প্রমুখ। তারা একাডেমির মাঠে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন। সংগঠনের সদস্য রুপম বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের এলাকার কৃতি সন্তানদের যথাযথ সম্মান দিতে পারি, তাহলে এই এলাকায় আবার নতুন কিংবদন্তি জন্ম নেবেন।’
জানাগেছে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামে। বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ করেন ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে। কিছুদিন গতানুগতিক চাকরি করে সুনীল সাংবাদিকতায় স্থায়ী হন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে কয়েকজন বন্ধুসহ তিনি কবিতা পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’ সম্পাদনা করতে শুরু করেন। আমৃত্যু দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাহিত্যে প্রবেশ কবিতা দিয়ে। লেখালেখিতে ‘নীললোহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ ও ‘নীল উপাধ্যায়’ প্রভৃতি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’, প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’। সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করেছেন তিনি। সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কারসহ বহু স্বীকৃতি লাভ করেন তিনি। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সাহিত্য আকাদেমির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ শিশু-কিশোর আকাদেমির সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর কলকাতায় জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয় কালকিনি উপজেলা যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উপদেষ্টা কবি ও লেখক সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, এপার বাংলার ওপার বাংলার এই প্রখ্যাত কবির জন্মদিন প্রতিবছর তার গ্রামের বাড়িতে বড় আকারে পালন করা উচিত। তার স্নৃতিকে আকরে ধরে রাখা চেষ্টা করা উচিত আমাদের সকলের। তা নাহলে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে মানুষ ভুলে যাবে। এবং কি তার গ্রামের বাড়িটিকে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *