হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফি’কে আটক।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করেন। ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ঢাকার আশুলিয়ায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা হত্যা ও হত্যার পর লাশের ভ্যানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
গত ৩০ আগস্ট২০২৪ইং ১মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আলোচনায় আসে আব্দুল্লাহিল কাফির নাম। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা রাস্তা থেকে মৃত দেহ একটা ভ্যানে ছুড়ে ফেলছেন। একপর্যায়ে ভ্যানে স্তূপাকার লাশ একটি প্লাস্টিকের ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেন পুলিশ সদস্যরা। ভ্যানে তোলা এক ব্যক্তির লাশ শনাক্তের মাধ্যমে জানা যায় এ ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশেই।
ওই ভ্যানের ওপর রক্তাক্ত নিথর দেহের স্তূপ গড়ছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিওটি আশুলিয়ায় ভ্যানের ওপর রক্তাক্ত নিথর দেহের স্তূপ গড়ছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিওটি আশুলিয়ারই।
সূত্রটি জানায়, এই ঘটনার সময় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) দায়িত্বে ছিলেন মো. আব্দুল্লাহিল কাফি। পরে এ বিষয়ে কাফির এক সহকর্মী বক্তব্য দিয়েছেন গণমাধ্যমে।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মূলত সেদিন আমরা কাফি স্যারের নির্দেশেই আশুলিয়া সড়ক পথ অবরোধ করে অপারেশন চালাই।’ এদিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ (এসআই) হাসান ও ডিবি পুলিশ সদস্য আরাফাত এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশব্যাপী ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন: হত্যাকাণ্ডে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে সঠিকভাবে বিচারের আওতায় আনতে পারবেতো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আশুলিয়ায় ছাত্র জনতা হত্যা মামলা অনেক সন্তানের মা বাবা নিজে বাদী হয়ে করতে পারেননি, সন্তানহারা বাবা মা বিচার পাবেতো?

Leave a Reply