December 30, 2024, 5:08 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম, প্রতিনিধি:
সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ভর্তির অর্থ ব্যাংকে জমা না করেই আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগি অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ী বাজার সংলগ্ন সাইফুর রহমান সরকারি কলেজ ২০১৮খ্রিঃ জাতীয় করণ হয়। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ৩১অক্টোবর ২০২২ খ্রীঃ অবসর গ্রহণ করেন এবং অধ্যক্ষ অবসর গ্রহনকালে বিধিবহির্ভূতভাবে তার ছোট ভাই জাকির হোসেনকে (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের দাপটে কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়। ২০২২-২৩ অর্থ-শিক্ষাবর্ষের জেনারেল শাখায় ২শত ২২জন ও বিএম শাখায় ৮৮জন মোট ৩শত ১০জন এবং ২০২৩-২৪ অর্থ-শিক্ষাবর্ষের জেনারেল শাখায় ২শত ২৯জন ও বিএম শাখায় ১শত জন মোট ৩শত ২৯জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাবদ বিধিবহির্ভূতভাবে রশিদ বই ছাড়াই প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট ২হাজার ৫শত থেকে ৩হাজার ৫শত টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভর্তি করায়। বিধি অনুযায়ী ভর্তির অর্থ ব্যাংকে জমা করার কথা থাকলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনগড়াভাবে আংশিক টাকা জমা করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন স্যার আওয়ামী লীগ করতেন আর ক্ষমতাসীন দলের দাপটে একের পর এক অনিয়ম করে চলছেন। কলেজে ভর্তির অর্থ ব্যাংকে জমা না করেই আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দিয়েছি।
সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন জানান, অভিযোগের কথাগুলো সঠিক নয়। আজ কলেজের শিক্ষার্থীরা সকালে অভিযোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন জানান, সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু সাইফুর রহমান কলেজ সরকারি বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহনুমা তারান্নুম জানান, আমি আজ ছুটিতে আছি। অভিযোগের বিষয়ে জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।