July 1, 2025, 2:44 am
আলিফ হোসন,
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইউব আলী জনরোষ এড়াতে স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে লাপাত্তা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার স্থানীয় অভিভাবকগণ স্কুলে গিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নামিয়ে ফেলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বাধাদেন।এনিয়ে অভিভাবকগণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ও তাদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এঘটনার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক আইউব আলী স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে লাপাত্তা হয়েছে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত প্রায় ১৫ বছর যাবত প্রধান শিক্ষক আইউব আলী আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। নিয়মিত স্কুল না করা, নিয়োগ বাণিজ্যে,স্কুলের জমি বন্ধক রাখা, গোলাম আজম নামে এক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে স্কুলের জায়গা কেনার জন্য ডোনেশনের ৬ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে
নগদ-বিকাশ একাউন্ট খুলতে মাথাপিছু ১৫০ টাকা ও বিদ্যুৎ বিলের জন্য প্রতি মাসে মাথা পিছু ২০ টাকা করে আদায়, দুটি ল্যাপটপ আত্মসাৎ,তিনটি মটর স্থাপনের নামে টাকা আত্মসাৎ,স্কুল অডিটের সময় সকল শিক্ষক-কর্মচারীর এক মাসের বেতনের টাকা কেটে নেয়া, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরুণে অতিরিক্ত টাকা ও পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকিয়ে টাকা আদায়, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা কেটে নেয়া ও স্কুলের বিভিন্ন অনুদানের টাকা নয়ছয় ইত্যাদিসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ লাখ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, স্কুলের যে অবস্থা তাতে ডিজিটাল বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন বেহাল দশা দেখে যে কেউ আঁতকে উঠবে। একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমান সুযোগ-সুবিধাও এখানে নাই। স্কুলে কমনরুম নাই, শিক্ষক আছে কম্পিউটার নাই, লাইব্রেরিয়ান আছে লাইব্রেরী নাই,
বিজ্ঞানাগার নাই, মানসম্মত টয়লেট ও নলকুপ নাই, সিমানা প্রাচীর ও খেলার মাঠ নাই, বেড়া-তাঁটির ঝুঁকিপূর্ণ মাটির ঘরে পড়ানো হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ঘটনার দিন স্কুলের দপ্তরি শহিদুল ইসলাম বাবু তাকে মারপিট করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছেন, নইলে তাকে স্কুলে আসতে দিবে না। তিনি বলেন, ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে দপ্তরি শহিদুল ইসলাম বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছবি নামানো নিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতার সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বাকবিতণ্ডা হয়েছে।#