January 15, 2025, 11:20 am
মো,শহিদুল ইসলাম,
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
গত ২০২৩/২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর বাসষ্টান্ডে সরকারি অর্থ বাজেটের ১লক্ষ টাকার একটি নতুন বাথরুম তৈরির জন্য ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলাম মন্টুকে পিআইসি করা হয়। ইউপি সদস্য মন্টু বাজেটের নতুন বাখরুমটি নতুন ভাবে নির্মান না করে বাসষ্টান্ডে অবস্থিত সাবেক মেম্বার মৃত ইসমাইল হোসেনের আমলে তৈরি ১টি পুরাতন বাথরুম ঘষে মেঝে নিম্ন মানের প্লাস্টার, প্লেন সিটের দরজা ও নিন্ম মানের টাইল্স ও প্যান বসিয়ে রং করে দিয়ে বাকি টাকা পকেটাস্থ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকার লোকজনের মুখে মুখে ব্যাপক গুঞ্জন সহ নানা ধরণের সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়া ইউপি সদস্য আওয়ামী রাজনৈতিক দলের লোক হওয়ায় তার নিজস্ব শক্তিতে গত ১বছর যাবত বাথরুমে কারো বাথরুম করতে দেবে না বালে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রাখে। এলাকা ও গ্রামবাসি জানান নাম মাত্র সর্বচ্চ ৩০/৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করে সমুদয় টাকা গুলো পকেটস্থ করেছে ইউপি সদস্য মন্টু। গ্রাম বাসি সহ বিভিন্ন মাধ্যম বাথরুমটি বার বার খুলে দেওয়ার কথা জানালেও ইউপি সদস্য মন্টু কোন কর্ণপাত করেনি। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌলী ইঞ্জিনিয়ারকে অবগত করা হয়। এবিষয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের জনগন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম হায়দার নান্টুর সাথে কথা বললে তিনি দ্রত ঐ ওয়ার্ডের মহল্লাদার আবু তালেবকে দিয়ে তালাবদ্ধ ঐ বাথরুমের তালা ভেঙে দরজা খুলে দেয়। বাথরুম খুলে দেওয়ায় ইউপি সদস্য মন্টু চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় এক সাংবাদিকের উপর ব্যাপকভাবে ক্ষিপ্ত হয়। এসময় স্থানীয় জনগনের রোষে পড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সরকারি টাকা আত্মসাৎ ও গত ১বছর ধরে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রাখায় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা যাচ্ছে।