মহেশপুরে একতা ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে এক গর্ভবতীকে আটকিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

শহিদুল ইসলাম,
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ- ঝিনাইদহের মহেশপুরে নেপা ইউপির বাকোশপোতা বাজারে অবস্থিত নিউ একতা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক রাসেল মাহামুদের বিরুদ্ধে কাকলি (১৯) নামের এক গর্ভবতী মহিলাকে সিজার করার নামে আটক রেখে জোর পুর্বক নগদ ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় গর্ভবতীর মামা জাকির হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিক মালিক রাসেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে গত ২৯ জুলাই ২০২৪ ইং দিবাগত রাত ৩ ঘটিকার সময় উপজেলার কাজীরবেড় ইউপির কাজীরবেড় গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন তার ভাগ্নি মোছাঃ কাকলি খাতুন (১৯)কে সন্তান ডেলিভারির জন্য নেপা বাকোশপোতা বাজারে অবস্থিত নিউ একতা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় ক্লিনিক মালিক তাদেরকে ভালো ডাক্তার দ্বারা সিজার করবেন বলে আশস্ত করেন। কিন্তু ভোর ৫টা বেজে গেলেও কোন ডাক্তার না আশায় ততক্ষন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে। এসময় স্বজনরা রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওখান থেকে অন্যত্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্লিনিক মালিক রাসেল মাহামুদ তাদেরকে ক্লিনিকের রুমে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রেখে ২০ হাজার টাকার দাবি করে। এবিষয়ে জাকির হোসেন বলেন অনেক ঠেলা ঠেলির এক পর্যায়ে পরে ১০ হাজার টাকার দাবি করে। তখন কাছে থাকা ৪ হাজার টাকা দিয়ে ওখান থেকে মুক্তি পেয়ে পার্শ্ববর্তী জীবননগর উপজেলার জীবননগর শহরে অবস্থিত কেয়ার সনো সেন্টারে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রত সিজার করানো হয়। বর্তমানে মা ও বাচ্চা আশংখ্যাজনক অবস্থায় রয়েছে। এঘটনায় কাকলি খাতুনের মামা জাকির হোসেন বাদি হয়ে এই অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরজমিন তদন্ত করলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান একজন ক্লিনিক মালিক হয়ে রোগীর সাথে এহেন আচারণ খুবই দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান রাসেলের ক্লিনিকের লাইসেন্স থাকলে তার কোন স্থায়ী ভাবে ডাক্তার নেই সে ভাড়াটিয়া ডাক্তার দ্বারা রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়া রাসেল নিজেই রক্ত প্রসাব ও আলটাসোনো পরিক্ষা নিরিক্ষা করে থাকে যার কোন বৈধতা নেই। এলাকাবাসি এই প্রতারণার বিচারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এবিষয়ে নিউ একতা ক্লিনিক মালিক রাসেল মাহামুদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান গত ২৯ জুলাই গভীর রাতে কাকলি নামের ঐ মেয়েটি আমার ক্লিনিকে সন্তান ডেলিভারীর জন্য ভর্তি হয়। ভর্তির পরে সিজারের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা সহ ডাক্তার ভাড়া করি, এবং তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। ডাক্তার আসতে একটু দেরি হওয়ায় তারা এখান চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার চিকিৎসা খরজ বাবদ টাকার দাবি করি, তখন তারা ৪ হাজার টাকা দিয়ে আমার এখান থেকে চলে যায়। এবিষয়ে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেদায়েত বিন সেতু’র সাথে কথা বললে তিনি জানান এঘটনায় জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *