বর্ষায় জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলা

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
পাইকগাছায় বর্ষায় জমে উঠেছে গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলা। বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে। বৃষ্টির পানি জমে থাকা মাঠে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। সে মজায় মেতেছে গ্রামের দামাল ছেলেরা। বৃষ্টি নামলেই ফুটবল প্রেমিদের মনে নামে আনন্দের বৃষ্টির খেলা। শ্রাবণের মুশল দারায় বৃস্টি এই রোদ,আবার ভারী বৃস্টি, কখন হালকা কখন ঝিরি ঝিরি বৃস্টি হচ্ছে।বৃস্টি হলে গদাইপুর মাঠে খেলা হবে। যারা নিয়মিত খেলে না তারাও খেলবে। কে ভালো খেলে আর কে খারাপ খেলে তা দেখার নেই। সবাই দল বেঁধে হৈ হুল্লোড় করে বৃষ্টিতে মাঠে নামবে, গায়ে কাঁদা মাখবে, পানি ছিটাবে, গড়াগড়ি করবে। ছোটবড় সবাই মিলিয়ে যেনো বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ সবার মনে।
বৃষ্টি হলেই ফুটবল খেলায় মেতে ওঠে ছোট-বড় সবাই। কাদা-পানিতে জমে ওঠে খেলা। সারাদিনই চলে ফুটবল খেলা। বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধে তারা খেলেছে ফুটবল। দুই দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে গোলবারে ফুটবল নিয়ে যাচ্ছে। একে অপরকে টেনে ধরছে। কেউ বা আবার মাটিতে আঁছড়ে পড়ছে। এক দলের খেলা শেষ হলে অন্যদল নেমে পড়ে মাঠে। অপেক্ষায় থাকে অন্যদল মাঠে নামার জন্য। খেলার মাঠের বিরাম নেই। ভোর থেকে ১১টা পর্যন্ত বড়দের খেলা চলে। এ সময় অপেক্ষায় থাকে ছোটরা কখন বড়দের খেলা শেষ হবে। ছোটরা মাঠে তেমন সুযোগ না পাওয়ায় দুপুর বেলায় মাঠে খেলতে নেমে পড়ে। আর বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়দের খেলা চলে। খেলায় মেতেছে স্থানীয় ফুটবলপ্রেমী ও সৌখিন খেলোয়াড়রা। এলাকা ছাড়াও বাহির থেকেও গাড়ীতে করে গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলার জন্য ভীড় জমাচ্ছে।মাঠে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর মাঠটি মেইন সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় সকলের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এলাকার ক্রীড়ামদীরা বৃষ্টি ভেজা মাঠে কাদামাটিতে ফুটবল খেলার আনন্দ উপভোগ করছে। দেখে মনে হবে এই আনন্দের শেষ নেই। গ্রামের মাঠে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলার অপর নাম কাঁদায় কুস্তি খেলা। বছরে অন্য সময় তেমন একটা খেলাধুলা না হলেও বর্ষা মৌসুমে গদাইপুর মাঠের জৌলুস ফিরে আসে। ফুটবল ক্রীড়ামদীরা পানি কাদায় পড়ে খেলোয়াড়দের কাদা মাখামাখি হয়ে ফুটবল খেলা দেখার জন্য মাঠে ভীড় জমাচ্ছে। বিকালে বৃষ্টি ভেজা মাঠে কাদামাটিতে ফুটবল খেলার আনন্দ উপভোগ করতে প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে।

ইমদাদুল হক
পাইকগাছা, খুলনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *