July 1, 2025, 8:42 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন বাবু জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের দোয়া কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য জুলাই পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু
কোটা বিরোধী আন্দোলনে সন্তান হারিয়ে দিশেহারা মা- প্রধানমন্ত্রী’র কাছে সহযোগিতা কামনা

কোটা বিরোধী আন্দোলনে সন্তান হারিয়ে দিশেহারা মা- প্রধানমন্ত্রী’র কাছে সহযোগিতা কামনা

এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ সংবাদদাতা ॥
দেশে কোটা আন্দোলনে নিহত হয়েছেন বানারীপাড়ার পূর্ব বেতাল গ্রামের আল আমিন রনি (২৪)।
তিনি মা মেরনিা বেগম এবং ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীর একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। মা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকা এবং নিজে দিনে একটি ওয়ার্কশপের পাশাপাশি রাতে ফুটপান্ডার ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন রনি। বাড়িতে তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

নিহত রনির মা মেরিনা বেগম জানান, ঘটনার দিন দুপুরে মায়ের কাছ থেকে একশ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় রনি। বিকেলে মা শোনতে পান কোটা আন্দোলনের সময় তাঁর সন্তান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ছুটে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় রনি মৃত্যুবরণ করেন। রনির মামা রিয়াদ জানান, ‘বানারীপাড়ার চাখার শেরে বাংলা একে ফজলুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রনি। তার বাবা ছালাম ফকির মহামারি করোনার সময় মৃত্যুবরণ করেন । বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরে রনি। মা এবং একমাত্র ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান।

বাবার মৃত্যুর পর রনির মা এবং ছোট ভাইয়ের আশ্রয় হয় নানা-নানির ঘরে। সেখানে একটি টিনসেট বিল্ডিংও বানিয়েছেন তিনি। তবে ঘরের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। আশা ছিল এ বছরই ঘরের সব কাজ শেষ করবেন। সেই আশা আর পুরণ হলো না। অকালে কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঝড়ে গেলো তার প্রাণ।

আল আমিন রনি সংসারে আয়ের একমাত্র উৎসই ছিল। তাকে হারানোর পর অন্ধকার নেমে আসছে পরিবারে। কিভাবে চলবে তাদের সংসার এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পরিবার। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন করছেন সন্তান হারা বিধবা মেরিনা বেগম।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD