December 22, 2024, 6:02 am
আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকারের সঞ্চালনায় আয়োজিত বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তানভির রেজা ও সোনীয়া সরদার প্রমুখ।এছাড়াও দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের (ইউপি) আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটির সভাপতি-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন প্রধান অতিথি তার বক্তব্য ফারুক চৌধুরী এমপি দেশবিরোধী অপশক্তি জামায়াত-বিএনপিকে মোকাবেলার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যেমন কোনো বিকল্প নাই, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় যেমন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রয়োজন: তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক গণতন্ত্রের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথায় আওয়ামী লীগের পক্ষে তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত ফের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আবারো জ্বালাও-পোড়াও-অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। তিনি বলেন, তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও তাদের রুখে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে জামায়াত-বিএনপি অপশক্তিকে প্রতিহত করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে জ্ঞানভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এজন্য ঐক্যবদ্ধ
আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে পৌচ্ছে দিতে হাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন। তার মতে মূখে কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন কি, অর্থনৈতিক কর্মসূচী তথা উৎপাদন, উন্নয়ন, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান এবং আধিপত্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ কি ও তার ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের নেই প্রশ্নে আপোষহীণ সে বিষয়টি সকল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা ছড়িয়ে দিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমরা কি পেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা কেনো আওয়ামী লীগ করি, অন্যদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কি, মানুষ কেনো আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে ও সমর্থন করে-এসব বিষয়ে তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীদের মাঝে সুস্পষ্ট ধারণা তথা দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলে তারা দলের প্রতি আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে এলাকায় আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী, বেগবান ও সু-প্রতিষ্ঠিত করা হবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আওয়ামী লীগ হলো অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আওয়ামী লীগকে বার বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতেও যাবে। আওয়ামী লীগ আগামীতে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তিনি সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বহুমাত্রিক প্রতিভাসম্পন্ন ত্রিকালদর্শী পুরুষ ছিলেন, তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যত পড়তে পারতেন। তার ইতিহাস বোধ বাঙালী জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছেন। বাঙালীর কি চাওয়া, তাদের দাবি, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সকল মানুষ এক হয়ে যেত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা মুলত বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি দেশব্যাপী যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃস্টি ও রাস্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছেন, এর বিচার তিনি জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এদের বিচার করবেন।#