হায়দার আলী,
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রী, অভিভাবক বসানোর জায়গায় ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গোদাগাড়ীর টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে এসে ক্ষোপ প্রকাশ করেন।
কলেজটি পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার দিন শ শ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন। ওই সব স্থানে অবস্থান করেন। মহিশালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল ইসলা ইসলামী একাডেমী, মহিশালবাড়ী দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা, এ ছাড়া মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা, মহিশালবাড়ী কেজি স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক চলাচল করে।
কলেজ ক্যাম্পাসে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান যখন যা ইচ্ছে তা করতে পারে না।
এ ব্যপারে কলেজ অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, আমাকে সেভাবে না জানিয়ে আম গাছ লীজকারীরা এ কাজ করেছেন। এতে কলেজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত মই দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কলেজের প্রভাষক মিলন বলেন, অধ্যক্ষের যা ইচ্ছে করছেন তাই হচ্ছে, উনি কার অনুমতি নিয়ে এসব কাজ করছেন আমার জানা নেই। এইচএসসি পরীক্ষার্থি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, কলেজ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন। তিনি উদ্ধোর্তন পক্ষের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। তিনি আরও বলেন আজ সকালে দ্রুত মই দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হায়াতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অধ্যক্ষ সাহেব কেন ট্রাক্টর দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র বা কলেজ ক্যাম্পাস হাল করেছেন বষয়টি উনার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারবো। জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদিন জানান, অধ্যক্ষ সাহেব এ কাজ করতে পারেন না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর মহল্লার অভিভাবক সাদেকুল ইসলাম ও খালেকুল ইসলাম বলেন, এখানে এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে, অনেক ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এখানে অবস্থান করেন, ক্লান্তিদূর করেন অনেকে কোন চন্তায় তিনি একাজ করেছেন। এখানে তিনি ধান না কলাই চাষ করবেন। পরিবেশের ব্যপক ক্ষতি করেছেন। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক তৈয়মুর রহমান খেলার মাঠে হালচাষ করে সরিষা বপন করেছিলেন এতে আন্দোলন ফলে তিনি চাকুরীচ্যুত হয়েছিলেন ফলে মৃত্যু আকতাউজ্জামান প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। একই মন্তব্য পরীক্ষা আব্দুল হাকিম, সেতাবুর, আব্দুল করিম। এলাকাবাসী শাহাদাত, মুতাসিন, শরিফসহ অনেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

Leave a Reply