এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ সংবাদদাতা:
বানাবীপাড়ায় রেলওয়ের কর্মচারী রুবেল হত্যা মামলায় আট আসামি ধরা ছোয়ার বাইরে রযে়ছে। এ ঘটনায় উপজেলার দড়িকর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা হিসাব রক্ষাকারী মো: সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে পুত্রবধু বিনা আক্তার ও তার ভাই রানা বেপারী, বোন উর্মী খানম, বাবা মিজানুর রহমান বেপারী, মা পারভীন আক্তার ও বোন জামাই জসিম ফকিরকে আসামি করে বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিসে্ট্রট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে
তদন্ত পূর্বক প্রযে়াজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই’র ওসি মো, কবির হোসেন ওই মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তীতে মামলার বাদী আদালতে নালিশী বহির্ভূত ওই মামলায় আরও দু’জন আসামি মো. আক্তার হোসেন আপন ও মো: সুমন হাওলাদারকে অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন করেন।
অপরদিকে রুবেল হত্যা মামলার বাদী মো.সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন হত্যার সুরাতহাল ও ফরেন্সিক রিপোর্টে রুবেলকে শ্বাস রোধ ও বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়ছে প্রমান পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাদী মো.সোহরাব হোসেন বলেন, ১৪ জানুয়ারী রাত ১১টার দিকে নিজ বাঁড়িতে পুত্রবধু বিনা আক্তার ও অন্যান্য আসামিদের যোগ সাজোসে শয়ন কক্ষে রুবেলকে বিষপান করায়। রুবেলকে বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরদিন সকালে রুবেলের পিতা মো. সোহরাব হোসেন বরিশাল শেবামেক হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, তার ছেলে রুবেলকে হাসপাতালে ফেলে রেখে সাথে থাকা ভাতিজা আক্তার হোসেন, সুমন হাওলাদার ও স্থানীয় আবু রায়হান এবং শাহীন মোল্লা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ছেলে রুবেলের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ২৮ জানুয়ারী সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা ওই নলিশী মামলায় ছয় আসামীর সঙ্গে আরও দু’জনকে সংশোধনী এনে মোট আট আসামি করেন। তিনি ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা পরস্পর যোগশাজসে ও পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে রুবেলকে বিষ প্রয়োগ করে অজ্ঞান হওয়ার পর তার গলায় কোন কিছু দিয়ে ফাঁস দেওয়া হয়েছে। তার প্রমাণ হিসেবে রুবেলের সুরাতহাল ও ময়না তদন্ত রিপোর্টে এ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই মামলার আসামিরা গ্রেফতার হননি।
এ ব্যাপারে রুবেল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরিশাল পিবিআই ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।#
Leave a Reply