September 7, 2024, 11:18 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মধুপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে সাংবাদিক কাজী নুরুলের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল র‌্যাব-১২’র অভিযানে ১৮৫০ পিস বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নেছারাবাদে দুইশত সাতচল্লিশ কেজি হরিনের মাংস উদ্ধার গ্রেফতার-২ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে রাজশাহীতে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা দ্বীনের কাজে অর্থ ও সময় দিতে হবে গোদাগাড়ীতে নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরএমপি’র নতুন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ানের যোগদান মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বিএনপির সংবাদ সন্মেলন খাগড়াছড়িতে বিএনপির সম্প্রীতির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত কাল‌কি‌নি‌তে অ‌বৈধ‌ ড্রেজা‌রের বিরু‌দ্ধে অ‌ভিযান
সুজানগরের পদ্মায় তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি

সুজানগরের পদ্মায় তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি

এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও চরা লে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার ভায়না,সাতবাড়িয়া,মানিকহাট,নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর পানি বৃদ্ধি ও পানি কমতি এবং পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নদীপাড়ের বাসিন্দারা। উপজেলার সাতবাড়িয়া অ ল থেকে শুরু করে নদীর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের কয়েকটি গ্রামের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য কৃষি জমি। এ কারণে নদী পাড়ের জমিতে আবাদকৃত অপরিপক্ক চিনাবাদাম ও তিল উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। চর সুজানগর গ্রামের কৃষক মোতাহার আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কৃষকেরা চিনাবাদাম ও তিলের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ফসল পনির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া চরে ভাঙনের ফলে উঁচ জমিতে লাগানো তিল ও চিনাবাদাম ফসলের ক্ষেত ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর বুকে। নদী ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। স্থানীয় সাতবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আম্বিয়া খাতুন জানান, প্রতিনিয়ত ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের। সময় থাকতে এই নদী ভাঙন ঠেকাতে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে হারিয়ে যাবে তাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা। কৃষকেরা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে নদীর পারের মানুষ। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। তাই তাদের দাবি আশ^াস নয় নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের। এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির,উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(বাপাউবো) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভাঙন রোধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD