আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার

হেলাল শেখঃ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক যুবক মিথ্যা বিয়ের ঘটনা সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, এই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে যুবকের একাধিক বিয়ের তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (৩০ জুন) সকালে আশুলিয়া থানা থেকে তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর থানার দূর্গাপুর গ্রামের হাসিবুল ইসলাম তারেক (২৩)। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তার বাবা আশরাফ আলী (৫০) ও মা হাসিনা বেগম (৪২) কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (১৫) আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে বসবাস করে। সে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

আশুলিয়া থানার মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সেই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তারেক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নেয় তারেক। পরে তাকে জানায় যে বিয়ে হয়ে গেছে। পরে তারেকের বাবা-মা সেই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মেয়ের পরিবার। মেয়ের মা বাসায় না থাকার সুযোগে তারেক প্রায়ই সেই বাসায় গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল।

পরে তারেকের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে সেনাবাহিনীর কোন সদস্য নন। সর্বশেষ ২৮ জুন সেই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। পরে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা তারেকের একাধিক বিয়ের কথা শুনেছি এবং দুটি বিয়ের প্রমাণ পেয়েছি। সেনা সদস্য পরিচয় দিয়েই এই অপরাধ করে আসছিল তারেক। তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *