“এমপি আনার হত্যাকান্ডে ঝিনাইদহের গ্যাস বাবুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে”

আতিকুর রহামান,
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু তিনি ঝিনাইদহ জেলা শহরের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত রায়হান উদ্দিনের ছেলে। ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন তিনি। ডিবির ভাষ্য, কিছু তথ্যের ভিত্তিতে বাবুকে আটক করা হয়। জানা যায়, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ থেকে আটক করা হয় বাবুকে। এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। শিমুল ভূঁইয়া ও বাবুর দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। এদিকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্যাস বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে তিনটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন বাবু। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো এবং একটি রেডমি মোবাইল ফোন। জিডি করার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ায় বাসা থেকে আটক করা হয় বাবুকে। হত্যাকান্ডের পর শাহীনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়েছে বাবুর। হয়েছে এসএমএস লেনদেন। একসঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন। উঠে এসেছে শাহীনের সঙ্গে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। শিমুল ভূঁইয়া, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। বাবুকে আটকের পর তার বড় ভাই কাজী গিয়াস আহমেদ গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে বলেছিলেন, চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধ (লাল পতাকা) প্রধান ডা. মিজানুর রহমান টুটুল আমাদের মামাতো ভাই। শিমুলের বোনকে বিয়ে করেছিলেন ডা. টুটুল। টুটুল শাহীনের আপন চাচাতো ভাই। সেই সূত্রে শিমুল, শাহীন উভয়ই আমাদের আত্মীয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *