ত্রিশালে জনপ্রিয়তায় চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েল সরকার এগিয়ে: কৈ মাছ মার্কার গনজোয়ার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি.
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই কৈ মাছ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার কে বিজয়ী করতে তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ ভোটাররা।অন্যদিকে প্রচার-প্রচারণায় তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানে দীর্ঘদিনের বেশ পরিচিত মুখ হিসেবে জুয়েলকে দেখামাত্র মানুষ তার কাছে ছুটে আসছেন, বুকে জড়িয়ে আশ্বস্ত করছেন ভোট দিয়ে বিজয়ী করার। হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েল সরকারের (কৈ মাছ ) সমর্থনে প্রতিটি পথ সভায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ভালোবাসা ও কঠোর পরিশ্রমে অসহায় মানুষের স্বপ্ন পূরণ করে তিনি জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। উপজেলার হাট-বাজার, পথে-প্রান্তরে ও পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গণজোয়ারে সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের আয়োজনে প্রতিদিন থাকছে ৬-৭টি করে পথসভা হচ্ছে আর প্রতিটি পথ সভায় হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। তরুণ প্রার্থী হিসাবে তরুন ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জুয়েল সরকার । পাড়া মহল্লায় আলোচনায় তার বিকল্প কাউকে দেখছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েল সরকার বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কোন ব্যক্তি পরিষদ থেকে খালি হাতে ফেরত আসবে না। সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের সুষম বন্টন হবে ইনশাআল্লাহ । সেটি ত্রিশাল উপজেলার রাস্তাঘাট মসজিদ- মাদ্রাসা কবরস্থান মন্দির , শ্মশান সর্বত্রই উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের ছোঁয়া থাকবে। উপজেলা জুড়ে আমার পক্ষে যে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার দৃষ্টান্ত দলমত নির্বিশেষে আগামী ২৯ মে নির্বাচনে কৈ মাছ মার্কায় ভোট দিয়ে উপজেলা বাসী আমাকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে, এটাই আমার বিশ্বাস । ত্রিশাল উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জুয়েল সরকার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার পর বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার উপজেলার সংসদীয় আসনের সাবেক বিপুল ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন,বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য-ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০৯ সালে ত্রিশাল থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ত্রিশাল থানাকে ১২টি ইউনিয়ন ও ৯১টি মৌজা নিয়ে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এই উপজেলায়
মোট ভোটার সংখ্যা ২,৫৭,০৫২ জন;তার মাঝে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১,২৮,৫৯৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১,২৮,৪৫৭ জন। তৃতীয় ধাপে এ উপজেলায় আগামী ২৯ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *