গোদাগাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকু্ল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জয়নাল আবেদিন। হরিণবিস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রধান করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদিন, জেলা শিক্ষা অফিসের প কর্মকতা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুর রহমান, চয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম,এন রিদওয়ান ফিরদৌস, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হায়দার আলী, প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মাহাফুজুল আলম প্রমূখ। রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোকাম্মেল হোসেনের কুরাআন পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম, গোগ্রাম আর্দশ বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম, চরআষাড়িয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসগর আলী, সুলতানগজ্ঞ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম, গুনিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, মাদ্রাসার সুপার মাহাবুব আলমসহ মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের প্রধানগণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে, আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভাবতে শিখায়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী বান্ধব কী না সেটা ভাবতে হবে। শিখাতে গেলে নিজকে শিখতে হবে। শিক্ষকদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতেই হবে। ইমেজ ডাউন হলে আর ইমেজ ফিরে আসে না। আপনারা ভাল শিক্ষক আপনাদের আরও ভাল শিক্ষক হতে হবে। শিক্ষকদের স্মাার্ট হতে হবে। আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করা হবে। যে শিক্ষক কর্মে ফাঁকি দিবে তাকে আমরা সহযোগিতা করবো না। আপনাদের অনেককে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, কোন ব্যতিক্রম হলে পচ্ছন্দের প্রার্থী পক্ষে সিল মারলে, আমরা আপনার বিরুদ্ধে লিখবো, আপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি কোন বিপদে পড়েন তবে আমরা আপনাদেরকে সাহায্য করবো।

এদিকে প্রেমতলী জসিমুদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক, পাকড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান অনুউপস্থিত থেকে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রতিনিধি হিসেবে সহকারি শিক্ষকদের পাঠানোর কারণে তাদেরকে অনুষ্ঠানে উপস্থিতির অনুমতি দেয়া হয় নি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ নাসির উদ্দীন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদন তাদের বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের eims, mpoসহ কোন ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, কোন কম্পিউটারের দোকানে, অন্য কোন কাউকে দিবেন না। জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট একজন কম্পিউটার দোকানের মালিক শিক্ষকদের ফাইলের খোঁজখবর নিতে যায়। তার নিকট ৫/৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড ছিল এটা কোনভাবে কাম্য নয়। এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। দোকানদারের নিকট কাজ করার যদি প্রমান হয় তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সহকারি শিক্ষক, কর্মচারি ছুটি ভোগ করার পূর্বে সহকারী প্রধানের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের নিকট ছুটির আবেদন দিতে হবে। (জরুরী ছুটির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে) সহকারি প্রধান শিক্ষক শিক্ষক গ্যাপ রুটিন তৈরী করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের স্বাক্ষর নিতে হবে। পাশ্ববর্তী ক্লাসের অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। হাজিরা খাতায় ছিটির আবেদন গেঁথে রাখতে হবে। ছুটি রেজিস্টার, ট্রেনিং রেজিস্টার, গ্যাপ রুটিংসহ বিভিন্ন রেজিস্টার আপডেট থাকতে হবে। শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইড, ই-মেল ঠিকানা ভিজিট করতে হবে। প্রেরিত পত্রের উত্তর সঠিক সময়ে দিতে হবে। শীতকালীন, গ্রীস্মকালীন লেখাধুলা, স্কাউট, গার্লসগাইড ফি, সঠিকসময়ে প্রদান, কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী,

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *