তীব্র তাপদাহে স্বরূপকাঠির জন জীবন অতীষ্ট বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ শয্যা সংকটে মেজেতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগিরা

স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি//

তীব্র তাপদাহে স্বরূপকাঠির জন জীবন অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। অফিস আদালত ও হাটবাজারের লোকসংখ্যা কমেগেছে। সব সেক্টরে শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে বিশ্রাম করছে। রাস্তায়ই অসুস্থ্য হযে পড়ছে অটো আর রিকসা চালকরা। অপরদিকে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ডায়রিয়া আর গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের রাখার মত তিল পরিমান ঠাঁই নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

১৯ বেডের ওই কমপ্লেক্সে অতিরিক্ত বেড দেওয়ার পরেও মেঝেতে বারান্দায়, করিডোরে চলছে রোগীর চিকিৎসা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জনই ডায়রিয়া রোগী। এবং আজ সকাল থেকে ভর্তি হয়েছে ১৯ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ী গেছে ২১ জন।

চিকিৎসকরা বলেছেন মাত্রাতিরিক্ত গরম এবং খালের দূর্ষিত পানি দ্ধারা মানুষ বেশি ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তারা বলেছেন, উপজেলার বেশির ভাগ মুরগীর খামারের বিস্টা নদী খালের পানিতে প্রভাহিত হচ্ছে। সেই পানি ব্যবহারের দ্ধারাই এ সময়ে বিষেশ করে ডায়রিয়া বেশি হচ্ছে। এছাড়াও গরম ও ফুড পয়জনিং কারনেও ডায়রিয়া হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অটো চালক আলমগীর হঠাৎ করেই রাস্তার পাশে অটোর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লে লোকজন ধরা ধরি করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে দ্রুত বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বাড়ীর ঘরের ছাদে ও চালে পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। আইসক্রিম, ডাবের দোকান ও লেবুর সরবতের দোকান গুলোতে ক্রেতার লাইন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়া বলেন ডায়রিয়া রোগীর চাপের কারনে গতকাল স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছিল। গতকালই পিরোজপুর থেকে আরো স্যালাইন আনা হয়েছে। বর্তমানে কমপ্লেক্সে সব ধরনের পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। সকল চিকিৎসক ও নার্সদের সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে সব কিছু মনিটারিং করছি।

অটো রিকসা চালক সমিতির নেতা আব্দুল কুদ্দস হাওলাদার বলেন, অসুস্থ্য হয়ে পড়া আলমগীরের অবস্থা গুরুতর। ডাক্তারগন বরিশাল নেওয়ার জন্য বলেছেন। তাকে বরিশাল পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া সব চালকদেরকে সাবধানে চলাচল করার জন্য বলা হয়েছে।

গাড়ীগুলোকে যথাসম্ভব ছায়া যায়গায় পার্কিং করার জন্য বলা হয়েছে।
গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই মটর ও পাম্পের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে বাড়ীর ছাদে ও ঘরের চালা, রাস্তা ও ঘরের আঙিনা ভিজিয়ে ঠান্ডা রাখার চেস্টা করছেন।স্বরূপকাঠি-বরিশাল-ঢাকা সড়কের জগৎপট্টি ট্রাক পয়েন্টে মটর দিয়ে পানি ছিটাচ্ছিলেন চা দোকানী সোহাগ।###

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *