আজিজুল ইসলাম,
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ শার্শার বাগআঁচড়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সোহাগ হোসেন নামে কতিথ এক সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয় ক্লিনিক ব্যাবসায়ীরা। পরে তাকে বাগআঁচড়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোহাগ হোসেন বাগুড়ী বেলতলা গ্রামের চা বিক্রেতা আব্দুস সামাদের ছেলে। সে তার বাবার দোকানে চা বিক্রী করতে করতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতো বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
রবিবার দুপুরে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যশোর বার্তায় ” চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বাগআঁচড়ায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার” শিরোনামে প্রকাশিত একটি নিউজ দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনি বাগআঁচড়া বাজারে ক্লিনিক মালিকদের দারা গণধোলাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় শার্শা থানায় সাজু আহম্মেদ, গোলাম সারওয়ার ও কামরুজ্জামান নামে ৩ ব্যাক্তি পৃথক তিনটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, সোহাগ হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সহ বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে মোবাইলে ছবি উঠিয়ে নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। এবং তিনি এভাবে চাঁদা দাবি করতেন। চাঁদা না দিলে তার ফেইসবুকে ঐ সমস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিকের নামে পোষ্ট করতেন। ঘটনার দিন দুপুরে সে বাগআঁড়ায় জনসেবা ক্লিনিক ও আল-মদিনা হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করে। বার বার চাঁদা দাবি করার কারনে ক্লিনিকের আসে পাশে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে গান ধোলাই দেন।
সম্প্রতি সে বাগআঁচড়া আব্দুল্লাহ সুইটস এ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খায়। স্থানীয়দের সহায়তায় সে যাত্রায় কোন রকম বেঁচে যায়।এর কয়েকদিন আগে বাগআঁচড়া বাজারের বেত্রাবতী সড়কে অবস্থিত হযরতের আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে ঢুকে কিছু ছবি তুলে চাঁদা দাবীর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বাগুড়ী বেলতলায় বেকারীর দোকানে ও মিলন ও তুহিনের ফার্মেসীর দোকানে এবং স্থানীয় আ.লীগ নেতা মনিরুলের কাছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গনধোলাইয়ের শিকার হয় সোহাগ হোসেন। পরবর্তিতে তাদের করা চাঁদাবাজি মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে আবারও চাঁদাবাজি শুরু করে। এ ছাড়াও একধিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবীর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শার্শা থানায় অভিযোগ রয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান জানান,আমি এখন থানার বাইরে আছি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

Leave a Reply