মিজানুর রহমান মিলন,
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে ‘পয়লা বৈশাখ’কে বছরের প্রথম মাস হিসেবে গননা করা হয়। এই উৎসব সংস্কৃতির উৎসব, কোনও ধর্মের নয়, তাই বাংলাদেশের মুসলমান বাঙালিরাও এই দিনটি পালন করে।বাংলাদেশেও মঙ্গল শুভ যাত্রার আয়োজন করা হয় যার ধারাবাহিকতায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ পালনে গত রবিবার ( ১৪ এপ্রিল) সকাল ৯.০০ ঘটিকায় রঙিন পোশাকে শাজাহানপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নববর্ষের ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেন।শোভাযাত্রাটি প্রতিষ্টান প্রাঙ্গন হতে বের হয়ে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর হয়ে আবার প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসে।
মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জনাব রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখে আমাদের প্রত্যাশা সকলের জীবন সূর্যের মতো দীপ্তিমান, জলের মতো শীতল আর , মধুর মতো মিষ্টি থাক ।পহেলা বৈশাখ বলি বা নববর্ষ বলি এগুলির সবকটির একই অর্থ বাংলা নববর্ষ।
তিনি আরো বলেন বাংলা নববর্ষ বাঙালি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক উৎসবগুলির মধ্যে একটি। পহেলা বৈশাখ হল আনন্দ, উত্তেজনা, এবং উৎসবে ভরা একটি দিন। এই দিনে শহরে মেলার আয়োজন করা হয় এবং লোকেরা নতুন জামাকাপড় পড়ে।লোকেরা সুস্বাদু খাবার তৈরি করে এবং তাদের পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে এবং তারা তাদের ঘর বাড়ী বর্ণিল রংঙে সাজায়। এটি এমন একটি দিন যা অতীতের ঝামেলা এবং দুঃখগুলিকে পিছনে ফেলে ইতিবাচকতা এবং আশাবাদে ভরা একটি নতুন ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করে। পহেলা বৈশাখ বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বের ।
পহেলা বৈশাখ হল বাঙালির নতুন বছরের শুরু। যারা ব্যবসা পরিচালনা করেন তাদের জন্যও দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই দিন থেকেই ব্যাবসার হিসেবের খাতা অনুযায়ি হালখাতার মাধ্যমে দেনা পাওনার মিমাংশা করেন ।পহেলা বৈশাখ হল নতুন সূচনা, আশা এবং নবায়ন উদযাপনের একটি সময়। উৎসবটি শুধু বাংলায় নয়, ভারত, বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে এবং সারা বিশ্বের বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যেও পালিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আশার,মাশরুম,নওশাদ সহ অন্যান্যে শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ ।

Leave a Reply