দীর্ঘ ১৫বছর ময়লা ট্যাংকির উপর বসবস মেলেনি সরকার থেকে বরাদ্দকৃত কোন ঘর

আনোয়ার হোসেন,

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি//

পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ময়লা ট্যাংকির উপর দীর্ঘ ১৫বছর ধরে বসবাস করছেন পিয়ারা বেগম। সরকরি ঘরের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও মিলেনি একটি ঘর। স্বরূপকাঠি পৌরসভার জগন্নাথকাঠি বাজারে দোকানে দোকনে পানি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন পিয়ারা বেগম। বৃদ্ধ মা এবং একমাত্র ছোট্ট ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে কষ্টে আছেন স্বামী পরিতোক্তা এই পিয়ারা বেগম। বৃদ্ধ মা পেটের দায়ে এই বয়সে এখনো বাসায় বাসায় কাজ করে বেড়ান।জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত এই ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনটি শীগ্রই ভেঙে ফেলা হবে। এই টেনসনে দিন কাটছে পিয়ারা বেগম ও তার বৃদ্ধ মায়ের। তাই একটি ঘরের জন্য আকুতি পিয়ারা বেগমের।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার জগন্নাথকাঠি বাজারে পরিত্যাক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ময়লা ট্যাংকির উপর বৃদ্ধ মা এবং ছেলেকে নিয়ে বাস করেন স্বামী পরিত্যাক্তা পিয়ারা বেগম (৩০)।

সরজমিনে গেলে পিয়ারা বেগম জানান, আমি আমার মায়ের সাথে ১৫বছর থেকে এই খানে বসবাস করছি। বাজারে দোকানে দোকান পানি দিয়ে খাই। মা বৃদ্ধ মানুষ বাসায় বাসায় এখনো কাজ করে। স্বামী ত্যাগ করে চলে গেছেন সেই দশবছর হয়।সেই থেকে মায়ের কাছে আছি। শুনেছি এই ভবনটি রমজানের পড়ে ভেঙে ফেলা হবে। তখন আমি ছেলে আর বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কোথায় যাবো কুলকিনারা খুজে পাচ্ছিনা। তাই সরকার যাদি আমাকে একটি ঘরের ব্যাবস্থা করে দিতো খুব ভালো হইতো।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মেজবাহুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৪টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছিলাম কিন্তু আমার আরো ঘরের প্রয়োজন। পিয়ারা বেগম খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। তার জন্য একটা ঘরের খুবই দরকার। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব।

এ বিষয়ে সবেক কাউন্সিলর বিপ্লব বলেন, এইরকম ময়লা ট্যাংকির উপর কোন মানুষ বসবাস করতে পারে না। আমি কাউন্সিলর থাকা কালিন এই ধরনের ঘরের বরাদ্দ ছিলোনা থাকলে অবশ্যই তাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতাম।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন,আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। ইউএনও স্যারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে দেখুন যদি কোন কোন ঘর থেকে থাকে অবশ্যই পিয়ারা বেগমকে দেয়া হবে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা একজন লোকও ভুমিহীন থাকবেনা সেই লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন পৌর সভার মধ্যে কোন বরাদ্দ নাই পিয়ারা বেগমকে একটা আবেদন করতে বলেন, প্রয়োজন ডিসি স্যারের সাথে আলাপ করে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে তার জন্য একটা ঘরের ব্যাবস্থা করে দেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *