তেঁতুলিয়ায় সেটেলমেন্ট অফিসের এজলাসে তথাকথিত নৈশ্য প্রহরী মোফাজ্জল

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,তেতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের এজলাসে বসে চুড়ান্ত যাঁচের শুনানি কাজ করতে দেখা গেছে তথাকথিত নৈশ্য প্রহরী মোফাজ্জল হোসেনকে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরের দিকে সেটেলমেন্ট অফিসের এজলাস যেখানে বসে একজন সহকারী কিংবা উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার তাঁর বিচার কার্যক্রম চালিয়ে থাকেন ঠিক সেই বরাবরে বসে এই কার্যক্রম চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এছাড়াও মোফাজ্জলকে উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় আপত্তি কেস শুনানি ও আপীল কেসের শুনানিতে কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী (বিসি) হিসেবেও কাজ করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোফাজ্জল দীর্ঘদিন যাবৎ ওই অফিসে কাজ করার এক পর্যায় সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর প্রায় ৪বছর আগে সু-সম্পর্কের ফাঁকফোকরে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে নৈশ্য প্রহরীর কাজ নেন অফিসে। পরে শুরু করেন যত অনিয়ম-দুর্নীতি। সাম্প্রতিক তাঁর হাত শক্তিশালী করতে অফিসের ভিতরে যুক্ত করান আপন ভাই সুলতান আলীকে। কেউ যেন তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস না পান পরিচয় দেন তিনি একজন আওয়ামী লীগ কর্মী। এদিকে তাঁর ভাই সুলতান আলীও দল ক্ষমতায় রয়েছেন। বর্তমানে মোফাজ্জল ও তাঁর ভাই ওপেন সিক্রেটে সেটেলমেন্ট অফিসের ভিতরে অনিয়ম ও দালালি করে আসছেন। আরও জানা যায়, আপত্তি কেস শুনানি ও আপীল কেসের শুনানি শুরু হলেই শালবাহান রোড মাঝিপাড়া এলাকার সুরত আমিন, কাজী গছ এলাকার নজরুল আমিন, সলেমান, আমানসহ অফিসটি বিভিন্ন দালালে ভরপুর হয়ে যায়। এদিকে নিঃস্ব হতে হয় সাধারন জনগণকে। মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে হয় সাধারন মানুষের কাজ।

মোফাজ্জল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আপনি ভুল দেখেছেন। আমি সাইটে ছিলাম। ৩১ ধারা শেষ হওয়ার পর ফাইনাল প্রিন্ট এর জন্য যে যাঁচ করা হয় তাই করছিলাম।

পেশকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ময়নাগুড়ি মৌজার যাঁচের কাজ চলছে। মোফাজ্জল আতাউরের সঙ্গে যাঁচের কাজ করেন। তবে এজলাসে বসে কাজ করাটা ঠিক হয়নি। এ ভুল যেন না হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পদবী জানতে পারা যায়নি অফিসের আতাউর রহমান বলেন, ‘মোফাজ্জল আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করছিলেন। এজলাসের চেয়ারে বসেনি সে স্কুলের মতো ছোট চেয়ারগুলোতে বসেছে। আপত্তি কোনো কেসেন শুনানী হয়নি সেটা ময়নাগুড়ি মৌজার যাঁচের কাজ করা হচ্ছিল।’

এ বিষয়ে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ইকবাল হাসান বলেন, তিনি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হাসান বলেন, আপনি (সাংবাদিক) ইউএনও স্যারকে জানিয়ে রাখেন। পরে বিষয়টি দেখবেন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারকে মঠোফোনে কলা করা হলে কলটি রিসিভ হয়নি।

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *