পটিয়ার কোলাগাঁও’র প্রদীপ কুমার শীল’র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় কোলাগাঁও ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভূমিদস্যু প্রদীপ কুমার শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ দুপুর ১২টার দিকে কোলাগাঁও নবারুন সংঘের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভূক্তভোগী জায়গার ওয়ারিশগণ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুবল আচার্য্য। এতে উপস্থিত ছিলেন বাদল আচার্য্য, সজল আচার্য্য, শিপন আচার্য্য, দিপন আচার্য্য ও সুজন আচার্য্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কমলা কান্ত আচার্য্য গং’র ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দীর্ঘদিন যাবৎ প্রদীপ শীলের বড় ভাই মৌখিক লাগায়তি খাজনায় দুলাল শীল ও তাঁর ভাইয়েরা চাষাবাদ করত। গত বছর দুয়েক আগে দুলাল শীল মারা গেলে লাগিয়তি খাজনা চাইলে গেলে তাঁরা খাজনা দিতে অস্বিকার করে। তখন তাঁরা বলে এ জমি নিজেরাই খরিদ করেছে। কমলা কান্ত গং ওয়ারিশ থেকে এ জমি খরিদ করেছে বলে জানান। জমির কাগজপত্রাদি দেখাতে বললে তাঁরা বিভিন্ন অজুহাতে না দেখানোর তালবাহানা শুরু করে। ইতিপূর্বে অধীন বাদী অত্র বিষয়ে ইউপি সদস্য বরাবরে মৌখিকভাবে অবহিত করিলে তিনি বাদী ও বিবাদিকে কাগজপত্রাদি প্রদর্শন করিতে বলিলে তিনি তপশীলোক্ত সম্পত্তি কোনো প্রকার কাগজপত্রাদি প্রদর্শন করিবে না। তাঁহাদের কাছে কোনো কাগজপত্র না থাকিলেও এই জায়গা তাঁরা দখলে রাখিয়া ভোগ করিবে। এবং এই জায়গার বিরুদ্ধে মামলা-মোকর্দ্দমা দায়ের করার বিষয়ে এলাকায় যাঁরা সহযোগিতা করিবে তাদেরও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসি লেলিয়ে দিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মারিবে কাটিবে, লাশ গুম করিবে। নারী-নির্যাতনসহ ও মিথ্যা মামলায় জেলে ঢুকাইয়া চৌদ্দ শিখের ভাত খাওয়াবে হয়রানি স্বীকার করিবে। হুমকি-ধুমকিতে অধীন বাদীসহ আমি এবং আমার অপরাপর ভ্রাতাগণ বর্তমানে নিরুপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
বাদী সুবল আচার্য্য জানান, একথায় আমাদের চাষায় রক্ষক হয়ে বক্ষক হয়েছে। তাঁরা ভদ্র ও নীরিহ মুখোশের আঁড়ালে এলাকার সুবল চৌধুরী বাড়ির জমি-জমা নিয়েও বিভিন্ন রকমের বিরোধ সৃষ্টি করছে। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। প্রদীপ কুমার শীল একজন ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত নিজ এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমি এই ভূমিদস্যু, জুলুমবাজ থেকে পরিত্রান পেতে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চৌধুরীর এর নিকট জোর দাবী জানান।
বিবাদী প্রদীপ কুমার শীলকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
কোলাগাঁও ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দিদারুল আলম জানান, বিবাদী প্রদীপ কুমার শীলকে তপশীলোক্ত সম্পত্তির কাগজপত্রাদি দেখাতে বললে তাঁরা কাগজপত্র দেখাবেনা বলে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখায়। যাঁ করার তাঁ আদালতে গিয়ে বাদীপক্ষকে করতে বলেন।
জানতে চাইলে পটিয়া থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *