ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ময়মনসিংহের নারী নেত্রীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্তত পাঁচজন নেত্রী এ নিয়ে দল এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের ঘনিষ্ঠরা।
এবার যারা দলের মনোনয়ন চাইবেন তাদের মধ্যে,
জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা,জেলা পরিষদ থেকে দুইবার নির্বাচিত সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আরজুনা কবির জনপ্রিয়তা ও মনোনয়ন দৌড়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। এবার তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে।
আরজুনা কবির বলেন, ‘‘আমি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে মনোয়ন চেয়েও পাইনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আবারও মনোনয়ন চাইব। কারণ, আমি বিগত দিনে দলের জন্য যে কাজ করেছি,একবার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দুইবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য হয়েছি। একবার জাতীয় সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে পারবো। সে ’’জন্য সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাইবো। দল যোগ্য মনে করলে আমাকে মনোনয়ন দেবে।’জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোনয়ন দিয়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ দেন,তাহলে নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজ করতে আপ্রাণ চেষ্ঠা করবো।
আরজুনা কবির ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হুমায়ুন কবির ভুট্টোর সহধর্মিণী। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এর বর্ধিত অংশ সাবেক বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির (কাদু চেয়ারম্যান) এর পুত্রবধু।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ‘‘সংরক্ষিত আসনে এবার নতুন মুখ চায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ময়মনসিংহে যতগুলো নারী নেত্রী রয়েছেন তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন আরজুনা কবির । এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষে থেকে সংরক্ষিত আসনে আরজুনা কবিরকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি উঠেছে। ফলে মনোনয়ন পাওয়ার আলোচনায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন তিনি।’’বিশেষ করে সংগঠনে নারীর অবস্থান নিশ্চিতকরণ ও নারীদের সংগঠিত করার পেছনে তার বড় অবদান রয়েছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরাও।
আরজুনা কবির বলেন, ‘‘বরাবরই স্বামীর সঙ্গে নিজেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছি। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক সামাজিক কর্মকান্ডও চালিয়েছি। আমার নিজের জন্য কিছু করার নেই। আমি মানুষের সেবা করতে চাই। এ জন্য এবারও সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে এমপি হয়ে আরো বেশী জনসেবা করতে ইচ্ছুক।
Leave a Reply